কপিরাইট অফিসের বিরুদ্ধে আসিফের অভিযোগ
এবার কপিরাইট অফিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন জনপ্রিয় গায়ক আসিফ আকবর। ২৫ জানুয়ারি নিজের ফেসবুকে অভিযোগটি করেন তিনি। পোস্টে কপিরাইট অফিসের বিরুদ্ধে আসিফের অভিযোগ মূলত শফিক তুহিনের গানকে কেন্দ্র করে।
আসিফ লেখেন, ‘শফিক তুহিনের ব্যাপারে আমি অনাস্থা জানিয়েছি স্বশরীরে শুনানিতে হাজির হয়ে। কারণ তার লেখা আনঅথারাইজড গানগুলোকে পুঁজি করেই সে মামলা করেছে। সেই গানগুলো নিয়েই সেদিন মুখোমুখি শুনানি ছিল, শফিক তুহিন আসেনি। কপিরাইটের লোক ধানাইপানাই করে বলল তাকে নাকি চিঠিই পাঠানো হয়নি। অথচ আমি চিঠি পেলাম, গেলামও। তাহলে আবেদনকারী কি কারণে আসলো না? এই উত্তর কপিরাইট অফিস দেয়নি। কপিরাইটের অঙ্গীকারনামায় যে কোনো আদালতে বিচারাধীন গানের স্বত্ব নিয়ে আইনি বিধিবিধান আছে। আমাকে সাজানো মামলা দিয়ে জেলে পাঠানোর পর শফিক তুহিন কপিরাইটের আপিল করেছে, যেটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।’
বিজ্ঞাপন
‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’ খ্যাত গায়ক অভিযোগ করেন, ‘সাতমাস অপেক্ষার পর কপিরাইট অফিস শফিক তুহিনের পক্ষে রায় দিয়েছে। এই রায়ের কপি আমি নিজের ইন্টারেস্টে চেয়ে নিয়েছি দু’মাস পর, তারা পাঠায়নি। তিনমাসের মধ্যে আপিল না করলে আমার বিপরীতে যাবে ফল। কপিরাইট অফিসের আগের রেকর্ডে এ ধরনের আপিলের রেজাল্টও আমার আইনজীবীর কাছে আছে। শফিক তুহিনকে অবৈধ সুবিধা দিয়েছে কপিরাইট অফিস, আমাকে না জানিয়ে আরো বড় অপরাধ করেছে তারা। শেষ পর্যন্ত আমি আপিল করার জন্য স্বল্প সময় পেয়েছি এবং ব্যারিস্টার সালেহ আকরাম সম্রাটের মাধ্যমে সবিনয়ে অফিসিয়ালি আপিল করেছি ন্যায়বিচারের আশায়।’
আসিফ লেখেন, ‘আইন সবার জন্য সবসময় একই হওয়া সংবিধানের শপথ। কপিরাইট অফিস তাদের দায়িত্ব ভুলে গিয়ে পক্ষপাতিত্ব করেছে। তাদের ইচ্ছানুযায়ী সুবিধামত চিঠি আসে কিংবা আসে না। একেক সময় একেক ধরনের এটিচ্যুড কপিরাইট অফিসকে বিতর্কিত করেছে বারবার। আমার সাথে তো অবিচার করেছে প্রথম সাক্ষাতেই। এবার সর্বগ্রাসী রাক্ষসের মুখোমুখি হতেই হচ্ছে অনিচ্ছা শর্তেও। তাদের এত শক্তি কোথা থেকে আসে বুঝি না। রাষ্ট্রের শপথের প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েও আইন অমান্য করে তারা কিভাবে সুবিধা পায়! আমি গানের গায়ক, এতই অপাংক্তেয় হয়ে গেলাম! কেউ আইনের তোয়াক্কাই করবে না!’
আসিফ প্রশ্ন তোলেন, ‘একটা দায়িত্বশীল সরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের স্বেচ্ছাচারী চালচলনে আমার অস্তিত্বকে অস্বীকার করার সাহস পায় কিভাবে! কপিরাইট অফিস যদি গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়ায় অবশ্যই সেই দড়ি টেনে ছিড়ে ফেলবো। রাষ্ট্রের স্বীকৃত নাগরিক হিসেবে ন্যায়বিচার ছিনিয়ে আনবো ইনশাআল্লাহ, সময়টা আজ অথবা কাল। কোন ব্যক্তির ছড়ি ঘোরানোতে আইনের অপপ্রয়োগ চলবে না, হতে দেবো না। প্রয়োজনে এই বিলাশবহুল কপিরাইট অফিসের জরাজীর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর বিরুদ্ধে একাই লড়ে যাবো আমি অদম্য আসিফ আকবর।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সাধু সাবধান, আইন অনুযায়ী ন্যায়বিচার করুন। শান্তিতে থাকুন, শান্তিতে রাখুন। কপিরাইট অফিস কারো বাপ-দাদার সম্পত্তি নয়। এ ধরনের ধান্দা থাকলে প্রতিষেধক হিসেবে বারবার আমি সামনে আসবো, আসতেই থাকবো জীবন্ত অগ্নিগিরির উত্তপ্ত লাভার মত। আজকের এই লেখাটা এক ধরনের সিভিল জার্নালিজম, যখন স্বাভাবিক জার্নালিজম কোমায় যায় তখন এই সিভিল জার্নালিজম জেগে ওঠে ফিনিক্স পাখির মত।’
আরআইজে