যেভাবে আরিয়ানের ‘মাদক পার্টির’ খবর পায় এনসিবি
প্রমোদতরীতে শাহরুখ পুত্র আরিয়ানের মামলার মূল চক্রান্তকারী সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এনসিপি নেতা সুনীল পাটিল বলে দাবি করেছিলেন মুম্বাইয়ের বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজ। এবার জানা গেল, প্রমোদতরীতে আরিয়ানের ‘মাদক পার্টির’ খবর সুনীলকে জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ঘনিষ্ঠ একজন। একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এ দাবি করলেন সুনীল পাটিল।
৩ অক্টোবর প্রমোদতরীতে অভিযান চালায় ভারতের নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। সেখানে তখন উপস্থিত ছিলেন সাক্ষী কিরন গোসাভি ও বিজেপি কর্মী মনীশ ভানুশালী। শনিবার মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজ অভিযোগ করেন, এ ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে রয়েছেন এনসিপি নেতা সুনীল পাটিল।
বিজ্ঞাপন
সেই সুনীল জানান, তাকে পার্টির খবর দিয়েছিলেন নীরজ যাদব, যিনি বিজেপি জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ঘনিষ্ঠ। সুনীলের বক্তব্য কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন নীরজ। তিনি বলেন, ‘মনীশ ভানুশালী ও কিরন গোসাভিকে পার্টির খবর দিয়েছিলেন তিনিই। এনসিবিকে খবর দেন মনীশ।’
মনীশকে চেনার কথা স্বীকার করেছেন সুনীল। তবে কিরন গোসাভিকে চিনতেন না। মনীশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগও করেছেন তিনি। সুনীলের কথায়, ‘আমাকে জোর করে আটকে রেখেছিল মনীশ ভানুশালী। দিল্লির হোটেলে মারধর ও হুমকি দেওয়া হয়েছে।’ এসবের ফলে আরিয়ানের মাদক মামলা ক্রমশ জটিল হচ্ছে।
শনিবার বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজ বলেছিলেন, ‘১ অক্টোবর স্যাম ডি’সুজাকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েছিলেন সুনীল পাটিল। প্রমোদতরীর পার্টিতে ২৭ জন বেআইনি মাদক নিতে চলেছে, সেই তালিকা তার কাছে রয়েছে। নারকোটিকস দফতরের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতে বলেন পাটিল। সেই অনুযায়ী মাদকবিরোধী সংস্থার অফিসার ভিভি সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেন ডি’সুজা। ক্রুজ পার্টিতে মাদক বিকিকিনির বিষয়টি জানান।’ এনসিবির সঙ্গে তালমিল রাখার জন্য জনৈক কিরন গোসাভির সঙ্গে যোগাযোগ করতেও নির্দেশ পাটিল।
সূত্র: জিনিউজ
এসএসএইচ