সাম্প্রদায়িক হামলার ইস্যুতে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। সর্বশেষ গতকাল রোববার (১৭ অক্টোবর) রাতে রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দুদের অন্তত ২০টি ঘর পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এসব ঘটনার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও প্রকাশ হচ্ছে। সেই সূত্রেই বিষয়টি জানতে পেরেছেন ভারতীয় বাংলা অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। তিনি এসব হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘ধর্ম…উপাসনার হাতিয়ার, নাকি যুদ্ধের?

একই ইস্যুতে তিনি কলকাতার একটি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘ধর্মের ভিত্তিতে যুদ্ধ, ভেদাভেদের চেষ্টা চলতে থাকে। মানুষ যুদ্ধ চায়, শান্তি চায় না। এটা খুবই দুঃখের। হিন্দু মুসলমানকে মারুক কিংবা মুসলমান হিন্দুকে মারুক, আখেরে সাধারণ মানুষেরই মৃত্যু হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। ২০২১ সালেও মানুষ ধর্মের অজুহাত দিয়ে এই সমস্ত করে যাচ্ছে, এগুলো সত্যিই কষ্টের। মানুষের জীবনের থেকেও কি ধর্ম বড়?’

অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন শ্রীলেখা। তিনি ছাড়াও কলকাতার একাধিক তারকা বাংলাদেশে মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলার বিষয়ে কথা বলেছেন। অভিনেতা পরমব্রত আহ্বান জানিয়েছেন, সচেতন মানুষদের এগিয়ে আসতে। গোঁড়ামি, মৌলবাদ সব ধর্মেই রয়েছে। তাই ওই ধর্মের সচেতন মানুষেরাই তাদের পরাস্ত করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিজয়া দশমীর দিন নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার চৌমুহনীর ইসকন মন্দিরে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। কোরআন অবমাননার অভিযোগে ধর্মীয় স্থানটিতে ভাংচুর করলে মন্দিরের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এছাড়া পার্থ দাস নামের মন্দিরের এক সদস্যকেও খুন করে হামলাকারীরা। পরবর্তীতে আরও কয়েকটি স্থানে হামলার অভিযোগ পাওয়া যায়।

কেআই/আরআইজে