মাদক কাণ্ডে জামিন পাননি বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান। তাই আগামী বুধবার (২০ অক্টোবর) পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে শাহরুখপুত্রকে। তার জামিন আবেদনের রায়দান স্থগিত রেখেছে মুম্বাই সেশন কোর্ট।

বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর হয়ে শুনানি করেন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অনীল সিং। তিনি আদালতকে জানান, কয়েক বছর ধরে প্রায় প্রতিদিনই মাদক সেবন করতেন আরিয়ান খান।

এ সময় অনীল সিং মহাত্মা গান্ধীকে টেনে এনেও জামিন খারিজের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি বলেন, ‘এটা মহাত্মা গান্ধীর দেশ। এই ধরনের স্বভাব দেশের যুবকদের খারাপ পথে চালিত করবে।’

আরিয়ানের হয়ে শুনানি করেন অমিত দেশাই। তিনি জানান, আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটকে হাতিয়ার করে যে অভিযোগ করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা, তা ভ্রান্ত। কারণ, আজকাল এমন ভাষাতেই কথা বলে যুব সমাজ।

আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে আরও একটি গুরুতর অভিযোগ এনেছে এনসিবি। মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার দাবি, মাদক নেওয়ার ক্ষেত্রে আরিয়ানের বিদেশি কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। তারা আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত। ক্রুজে মাদক পার্টির মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে আরিয়ান এবং দুই নম্বরে আরাবাজ মার্চেন্ট।

এদিকে, আরিয়ানের গ্রেফতার নিয়ে রাজনীতি দেখছেন অনেকে। পাশাপাশি এর পেছনে তার ধর্ম পরিচয়ও দায়ী বলে দাবি করা হচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি সম্প্রতি দাবি করেছেন, আরিয়ান মুসলিম হওয়ার কারণেই তার জামিন নাকচ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, মাদক মামলায় আরিয়ানকে ১৪ দিন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের আদালত। আরিয়ান ছাড়াও আরও ৫ জনকে ওই মামলায় গ্রেফতার করেছে এনসিবি। তাদের সবাইকে রাখা হয়েছে মুম্বাইয়ের আর্থার রোড জেলে। ওই মামলায় গ্রেফতার ২ তরুণীকে রাখা হয়েছে বাইকুল্লার মহিলা কারাগারে।

এমএইচএস