নাটক নিয়ে তারা কাজ করে আসছেন দেশ স্বাধীনের আগে থেকে। গণঅভ্যুত্থান কিংবা মুক্তিযুদ্ধে তারা লড়েছেন সংস্কৃতি নিয়ে। নাট্য আন্দোলনের নন্দিত সেই দু’জন ব্যক্তিত্ব হলেন মামুনুর রশীদ ও ড. ইনামুল হক। এর মধ্যে ইনামুল হক আজ সোমবার চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

বিকাল ৪টার দিকে বেইলি রোডের নিজ বাসাতেই মারা যান বর্ষীয়ান অভিনেতা ড. ইনামুল হক। ইতোমধ্যে নাট্যাঙ্গনের সবার কানেই খবরটি পৌঁছে গেছে। কেউ কেউ খবরটি শুনে একেবারে স্তব্ধ হয়ে গেছেন। তেমনই একজন মামুনুর রশীদ।

ঢাকা পোস্টের কাছে কিংবদন্তি এই অভিনেতা বলেন, ‘খবরটা শুনে আমি খুব আপসেট। কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই। দীর্ঘ দিনের বন্ধুকে হারিয়ে ফেললাম।’

এরপরও দীর্ঘ দিনের সতীর্থকে নিয়ে দু’একটা কথা না বললেই নয়। তাই বললেন, ‘ভীষণ ভালো মানুষ ছিলেন তিনি। অসাধারণ একজন বন্ধু ছিলেন। থিয়েটারের সত্য ও ত্যাগী একজন মানুষ ছিলেন। শিক্ষকতাও করেছেন। এমন একজনকে হারিয়ে ফেলা সত্যিই বড় ধরনের ক্ষতি।’

ইতোপূর্বে ড. ইনামুল হকের বাসার দিকে রওনা দিয়েছেন মামুনুর রশীদ। জানালেন, প্রিয় বন্ধুকে শেষবার দেখবেন এবং শ্রদ্ধা জানাবেন।

উল্লেখ্য, ড. ইনামুল হক পড়াশোনা করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর শিক্ষকতা করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)। পাশাপাশি তিনি নাট্য আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় শহরজুড়ে ঘুরে ঘুরে পথনাটক করেছেন। পরবর্তীতে টেলিভিশন নাটক ও সিনেমায় অনবদ্য অভিনয় উপহার দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন দেশের সংস্কৃতি।

২০১২ সালে মামুনুর রশীদ ও ড. ইনামুল হক একসঙ্গে একুশে পদকে ভূষিত হয়েছিলেন।

কেআই