ঘুরব আর অনেক খাব: ঋতাভরী
ঘনিয়ে আসছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। আর কলকাতা মানেই দুর্গাপূজার জমকালো আয়োজন। বলা চলে, দুর্গাপূজার শহর কলকাতা। এই শহরের মানুষেরা দেবী দুর্গাকে যতটা জাঁকালোভাবে বরণ-বিসর্জন করেন, তা অন্য কোথাও দেখা যায় না।
কলকাতার সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তারকাদেরও তাকে বিশেষ পরিকল্পনা। প্রিয়জনদের সঙ্গে উৎসবের সময়টা উপভোগ করেন রূপালি জগতের মানুষেরা। জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীও তার পূজার প্ল্যান সাজিয়ে ফেলেছেন।
বিজ্ঞাপন
‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’ খ্যাত এ অভিনেত্রী বলেন, ‘আসলে পূজা মানে আমার কাছে টুকরো টুকরো অনেকগুলো ছবি। সেই ছবিতে আমার পরিবার আছে, বন্ধুরা আছে, কাছের মানুষরাও আছে। গত বছর থেকে পূজার ছবিটা অনেকটাই বদলেছে। করোনার ভয় উৎসবের রং খানিক হলেও ফিকে করে দিয়েছে। কিন্তু এই বছরটা একটু অন্য রকম হবে। দীর্ঘ অসুস্থতার পর এখন আমি সুস্থ। কাজ করছি। ব্যস্ততার মধ্যেই চারটে দিন কাটবে। তার মধ্যেই নিজের মতো করে আনন্দ করব।’
পূজা মানেই ঋতাভরীর ডায়েট ভুলে খাওয়াদাওয়া। বললেন, ‘সাবধানতা অবলম্বন করেই পূজার চারটে দিন আনন্দে মেতে উঠব। ঘুরব আর অনেক অনেক খাব। চেহারা ঠিক রাখার জন্য সারা বছর কড়া ডায়েটে থাকি। ইচ্ছে করলেও অনেক কিছু খেতে পারি না! সারা বছর শুধু এই চারটে দিন কোনও বারণ শুনি না। যা যা ইচ্ছে করে, সব খেয়ে নিই। প্রত্যেক বছর মাঝরাতে দেশপ্রিয় পার্কের সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে চাউমিন খাই। উপরে আলাদা করে শসা কুচিয়ে দিতে বলি। আহা! ওই চাউমিন ছাড়া পূজার কথা ভাবতেই পারি না।’
দুর্গাপূজা উপলক্ষে মুক্তি পাচ্ছে ঋতাভরী অভিনীত নতুন সিনেমা ‘এফআইআর’। যেখানে তিনি অভিনয় করেছেন অঙ্কুশ হাজরা ও বনি সেনগুপ্তের সঙ্গে। তাই পূজার সময়টাতে সিনেমার প্রচারেই ব্যস্ত থাকতে হবে তাকে।
তবে তাকে একদমই নাগালছাড়া করতে চান না প্রেমিক তথাগত। অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘উৎসবের ক’টা দিন ও আমাকে কাছছাড়া করতে চাইছে না। বলছে ছবির প্রচারেও আমার সঙ্গেই থাকবে। আমাকে সাহায্য করবে। কাজের মধ্যে থাকলেও একসঙ্গে থাকতে তো পারব। এই বা কম কী!’
কেআই