মনের দিক থেকে তারা অনেক ধনী: শ্রীলেখা
টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। জন্মসূত্রে তিনি কলকাতার মানুষ। তবে তার পৈতৃক ভিটা বাংলাদেশের মাদারীপুরে। দেশভাগের সময় শ্রীলেখার পূর্বসুরিরা ভারতে চলে যান। তবে বাবার কাছে বাংলাদেশের নানা গল্প শুনে বড় হয়েছেন তিনি। তাই মনের গহীনে সুপ্ত ইচ্ছে ছিল, একদিন পৈতৃক ভিটা দেখতে আসবেন।
সেই লক্ষ্য নিয়ে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে এসেছিলেন শ্রীলেখা। সঙ্গে নিয়ে আসেন বাবা সন্তোষ মিত্রকে। সেই সময় তাদেরকে আপ্যায়ন করেছিলেন বাংলাদেশের কিংবদন্তি দম্পতি চিত্রনায়ক আলমগীর ও সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। তাদের বাসাতেই উঠেছিলেন শ্রীলেখা ও তার বাবা।
বিজ্ঞাপন
চার বছর আগের সেই স্মৃতি স্মরণ করে রোববার (৩ অক্টোবর) ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন শ্রীলেখা। সেখানে তিনি প্রশংসায় ভাসিয়েছেন আলমগীর ও রুনা লায়লাকে।
অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘বাবার মুখে বাংলাদেশের মাদারীপুরের ঘটমাঝি গ্রামের জমিদারবাড়ির গল্প শুনে বেড়ে ওঠা। মিত্তিরদের পুজো, মিত্তিরদের ঘাট, মিত্তিরদের বাজার, পোস্ট অফিস, শ্মশান; আরও কত কী। অগণিত মানুষের মতো দেশভাগের শিকার আমারাও।’
শ্রীলেখা জানান, একটি রিয়্যালিটি শোতে শ্রীলেখা ও তার বাবার বাংলাদেশের স্মৃতি রোমন্থনের গল্প শুনে তাদেরকে আমন্ত্রণ জানান আলমগীর ও রুনা লায়লা। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে এ দেশে ছুটে আসেন তারা।
গুণী এই অভিনেত্রী লিখেছেন, “রুনা লায়লা (আমরা সবাই যার বিরাট ভক্ত) আপু আর আলমগীর (হ্যান্ডসাম নায়ক আর অতিরিক্ত ভালো মানুষ) ভাইয়ের বাসায় আমাদের যত্নের কথা আর কী বা বলব। ছোটবেলার টিভিতে দেখা ‘দামা দাম মাস্ত কালান্দার’, ‘সাধের লাউ’ আরও কতো কতো গান সব আমার ঠোঁটস্থ; এমন শিল্পীর বাড়িতে আমরা হলাম অতিথি। শুধু ধন তারা, মনের দিক থেকে তার চেয়েও অনেক অনেক ধনী।”
ওই সফরে শ্রীলেখা ও তার বাবা তাদের পৈতৃক ভিটাও দেখে গিয়েছিলেন। সহযোগিতা করেছিলেন আলমগীর ও রুনা লায়লা। সফরের ছবিগুলো তার কাছে ছিল না। সম্প্রতি এক ব্যক্তি তাকে ছবিগুলো দিয়েছেন। তাই ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করতে বিলম্ব করেননি অভিনেত্রী।
উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই বাবাকে হারিয়েছেন শ্রীলেখা। এখনো সেই শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তাই বাবার সঙ্গে জড়ানো স্মৃতি রোমন্থন করেই কাটছে তার সময়।
কেআই