প্রথমবারের মতো মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসের আয়োজন করেছে বেসরকারি টিভি চ্যানেল আরটিভি। গত শনিবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও-এর বলরুমে অনুষ্ঠিত হয় পুরস্কার প্রদানের আসর। এতে মোট ১০ ক্যাটাগরিতে প্রদান করা হয়েছে পুরস্কার।

বাংলা সংগীতে স্মরণীয় অবদান রাখার জন্য গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে দেয়া হয়েছে আজীবন সম্মাননা। অনুষ্ঠানে তাকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন আরটিভির চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম এমপি, সম্মাননা তুলে দেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনায়েন আহমেদ পলক এমপি।

আরটিভির বিভিন্ন সঙ্গীতানুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিচারকদের রায়ে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার তুলে দেয়া হয় নির্বাচিতদের হাতে। বিজয়ীরা হলেন:

শ্রেষ্ঠ সংগীতশিল্পী (নারী): মৌটুসী, শ্রেষ্ঠ সংগীতশিল্পী (পুরুষ): সাব্বির জামান, শ্রেষ্ঠ লোকসংগীত শিল্পী (নারী): সালমা, শ্রেষ্ঠ লোকসংগীত শিল্পী (পুরুষ): শফি মন্ডল, শ্রেষ্ঠ গীতিকার: শহীদুল্লাহ ফরায়েজী, শ্রেষ্ঠ মিউজিশিয়ান: সুনীল চন্দ্র দাস, শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক: শওকত আলী ইমন, বেস্ট প্রমিজিং সিঙ্গার: প্রতীক হাসান, বেস্ট ব্যান্ড: ধ্রুবতারা, বেস্ট ইউটিউব ভিডিও: গান- ‘সখি গো আমার মন ভালো না’, সংগীত পরিচালক: জে কে মজলিস, কণ্ঠশিল্পী: লায়লা, নির্মাতা: নূর হোসেন হীরা।

অনুষ্ঠানে আরটিভি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান বলেন- ‘আপনারা জানেন, আরটিভি মিউজিক অ্যাওয়ার্ড এর আগে স্টার অ্যাওয়ার্ডের সাথেই দেয়া হতো। সেই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হতো শুধুমাত্র ৫টি ক্যাটাগরিতে। কিন্তু একটা সংগীত সৃষ্টির পেছনে আরও অনেকের অবদান থাকে। যেমন: গীতিকার, সুরকার, মিউজিশিয়ান, ভিডিও নির্মাতা ইত্যাদি। আমরা যদি নেপথ্যের এই ব্যক্তিদের অবদানকে মূল্যায়ন না করি, তবে তাদের প্রতি অবিচার করা হবে। সেই বিবেচনায় আরটিভি এ বছর থেকে ব্যাপক পরিসরে শুরু করলো মিউজিক অ্যাওয়ার্ড।’

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা কবিতা, গান, সাহিত্যে অনেক অগ্রসর। একটি জাতীর সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশের মাধ্যমে সে জাতীকে আরো সমৃদ্ধ করা যায়। আরটিভি সবসময় গানের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান করে তরুণ প্রজন্মকে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার দিকে অগ্রসর করে দিচ্ছে সেজন্য আমি আরটিভিকে অভিনন্দন জানাই।’

জমকালো এই আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন- কণ্ঠশিল্পী খুরশিদ আলম, ইয়াসমিন মুশতারী, সংগীত পরিচালক ফুয়াদ নাসের বাবু, কণ্ঠশিল্পী লিনু বিল্লাহ, সংগীত পরিচালক নকীব খান, মানাম আহমেদ, সংগীতশিল্পী হায়দার হোসেনসহ অনেকেই।

পুরস্কার প্রদান ছাড়াও এতে ছিল সাংস্কৃতিক পর্ব। যেখানে সংগীত পরিবেশন করেছে মাইলস ব্যান্ড, শওকত আলী ইমনের পরিচালনায় ‘সিম্ফনি ক্লাসিক্যাল অর্কেষ্ট্রা’, ইমন চৌধুরী ও তার দলের ইন্সট্রুমেন্টাল মিউজিক, হাসান এস ইকবাল ও দৃষ্টি আনাম এর ম্যাশআপ, সুজন আহমেদের গ্রন্থনা ও নির্মাণে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ওপর নির্মিত মিনি-ডকুমেন্টারি, কবিরুল ইসলামের কোরিওগ্রাফিতে ‘ক্লাসিক্যাল ফিউশন’, ইয়াংস্টার-এর থিমসং এবং ‘বাংলার গায়েন’ টপটেন শিল্পীদের দলীয় সংগীত ও গানের সিডির মোড়ক উন্মোচন।

কেআই