১৯৭০-’৮০ দশকের হিন্দি সিনেমায় ধর্ষণ অথবা যৌন হেনস্থার দৃশ্য মানেই ছিল রঞ্জিত বেদী। দর্শক তাকে ধর্ষকের চরিত্রে দেখতে দেখতে মনে করত যে, ব্যক্তিজীবনেও মানুষটি খারাপ। তার প্রভাব যে রঞ্জিতের পারিবারিক পরিধিতেও এসে পড়ে, তা জানা যায় তার নিজের মুখ থেকেই।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের বৈবাহিক জীবনের গল্প বলেন ‘রেপ স্পেশালিষ্ট’ হিসেবে পরিচিত রঞ্জিত বেদী।

সেখানে তিনি জানান, স্ত্রী অলোকার সঙ্গে তার আলাপ হয়েছিল সিনেমার সূত্রেই। একটি সিনেমায় তাকে অভিনয় করানোর কথা ভেবেছিলেন রঞ্জিত। ও দিকে কথাবার্তা শুরু হতেই অলোকার সঙ্গে ছেলের বিয়ে এগোনোর শখ জাগে রঞ্জিতের বাবা-মায়ের। সে সময়ে রঞ্জিতের দুই ভাই বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। মা-বাবা চাইছেন, বড় ছেলেও এ বার সংসার পাতুক।

রঞ্জিতের কথায়, ‘অলোকা আধুনিক, আবার ঘরোয়া। ইংরেজি বলতে পারত, আবার পঞ্জাবিও৷ আর কী চাই? কিন্তু সে সময়কার রঞ্জিতের সঙ্গে কে তার বিয়ে দিতে চাইবেন!’ তাও অলোকার বাবা-মা আপত্তি জানাননি। বিয়ের উদ্যোগ শুরু হয়।

রঞ্জিত জানান, বিয়ের আগেই অলোকার এক আত্মীয় রঞ্জিতের শাশুড়িকে বলেন, ‘কার সঙ্গে বিয়ে দিচ্ছ? এর থেকে মেয়েকে বিষ খাইয়ে দাও, তাও ভাল।’ তা ছাড়া সেই আত্মীয় আবার অলোকার মাকে বলেন, ‘নিশ্চয়ই রঞ্জিত মদ খেয়ে অলোকাকে মারধর করে। মেয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে কিনা খেয়াল রেখ।’

যদিও অলোকার মা তাকে উত্তর দিয়েছিলেন, ‘না না, আমার মেয়েই বরং মারধর করতে পারে। রঞ্জিত করবে না, জানি।’ এই খল অভিনেতা আরও জানান, ‘অলোকার সঙ্গে তার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিবাদ হয়। তাদের মধ্যে ধ্যানধারণাগত পার্থক্য রয়েছে। তাও তারা এক ছেলে এবং এক মেয়ে নিয়ে সুখেই আছেন।’

সূত্র : আনন্দবাজার

আরআইজে