মুখ ভর্তি সাদা দাড়ি, মাথার কাঁচাপাকা চুলের মধ্য থেকে উঁকি দিচ্ছে টাক, চোখের নীচে কালি, চশমা চোখের চাউনিতে কেমন একটা উদাসীনতা। দেখলে চেনা কষ্টের যে এটা প্রসেনজিৎ। টলিউডের এভারগ্রিন এই তারকাকে এমন চেহারায় দেখলে থমকে যেতে হবে দর্শকদের। তবে এমনই অচেনা লুকে সামনে এলেন বুম্বাদা।

ছক ভাঙতে বরাবরই ভালোবাসেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। অতনু ঘোষের আসন্ন ছবি ‘শেষ পাতা’র লুক সামনে আসতেই শুরু হয়ে গেছে হইচই।

নায়ক প্রসেনজিৎ তার অন্যতম পছন্দের পরিচালকের ছবিতে এমনই অচেনা লুকে ধরা দেবেন। যেখানে তার বয়সের ছাপ স্পষ্ট। ‘ময়ূরাক্ষী’, ‘রবিবার’-এর পর অতনু ঘোষের এই ছবিতেও মূল চরিত্রে অভিনয় করছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। শনিবার ছবির চরিত্রদের লুক প্রকাশ্যে আনলেন পরিচালক। প্রসেনজিৎ ছাড়াও এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করবেন, গর্গী রায় চৌধুরী এবং বিক্রম চট্টোপাধ্যায়।

কেমন হবে শেষ পাতার গল্প?

অতনু ঘোষের কথায়, চার জন মানুষকে নিয়ে এই ছবির কাহিনী। আশি ও নব্বইয়ের দশকে ব্যাপক জনপ্রিয় নাকউঁচু লেখক বাল্মীকি (প্রসেনজিৎ), কিন্তু জীবনের ঘনঘটায় অনেক কিছু ঘটে যায় তার জীবনে। এখন তার জীবন একাকীত্বে ভরপুর।

অন্যদিকে রয়েছে ত্রিশের কোঠার ঝকঝকে একটা ছেলে সৌনক, ডিজিটাল যুগের সঙ্গে এঁটে উঠতে না পারায় এক সময় টলিগঞ্জে কালারিস্ট হিসেবে কাজ করা সৌনকের বাবা এখন কাজ হারিয়ে বাড়িতে বসে। পরিবারে ছোট ভাই রয়েছে- তাই ওর মাথায় অনেক দায়িত্ব। জীবনে স্থির করা লক্ষ্যে ওকে পৌঁছাতেই হবে না হলে…এই চরিত্রে রয়েছে বিক্রম।

আরেক দিকে মেধার ভূমিকায় দেখা যাবে গার্গী রায়চৌধুরীকে। মাঝবয়সী সংবেদনশীল এবং বাস্তব বুদ্ধিসম্পন্ন এক মহিলা মেধা। কিন্তু আচমকা ওর জীবনের গতিপ্রকৃতি বদলে দেবে এক ঘটনা। সেটা অতিক্রম করে কীভাবে নিজের জীবনে স্থিরতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে সে, সেই লড়াই ফুটে উঠবে পর্দায়।

আর থাকছে দীপা, একজন চিত্রশিল্পী। সাত বছর ধরে বিক্রমের সঙ্গে প্রেমে আবদ্ধ। যে নিজের অস্তিত্ব আর সম্মান টিকিয়ে রাখার লড়াই চালাচ্ছে। দীপার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে নাট্যমঞ্চের পরিচিত মুখ রায়তী ভট্টাচার্যকে।

শেষ পাতা প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছে ফিরদৌসুল হাসানের ‘ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন’। আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হবে ছবির শুটিং।

এমএইচএস