জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পতি হবে থাকবে এই সিনেমা: আরিফিন শুভ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক নির্মাণ করছেন ভারতের প্রখ্যাত পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। ‘বঙ্গবন্ধু’ নামের এই সিনেমার প্রধান চরিত্র তথা বঙ্গবন্ধুর ভূমিকায় অভিনয় করবেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক আরিফিন শুভ।
সিনেমাটির শুটিংয়ে অংশ নিতে আগামী ১৯ জানুয়ারি ভারতে পৌঁছাবেন এই তারকা। ১৯ থেকে ২৩ জানুয়ারি সিনেমাটির ওপর একটি ওয়ার্কশপে অংশ নেবেন তিনি। ২৪ জানুয়ারি থেকে মুম্বাইতে শুরু হবে শুটিং। এরপর থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত টানা আড়াই মাস ‘বঙ্গবন্ধু’র শুটিংয়ে অংশ নেবেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) ‘ঢাকা পোস্ট’-এর সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান আরিফিন শুভ। এ সময় তিনি সিনেমাটি নিয়ে আরও কিছু কথা শেয়ার করেন, ‘গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি আমার সিনেমাটিতে কাজ করার বিষয় চূড়ান্ত হয়। যদিও সেটি মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয় পরে। তারও আগে টানা তিন-চার মাস ধরে আমি অডিশন দেই। অডিশনের পর নানান কর্মশালা, বঙ্গবন্ধুর জীবনী, তাকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন বই, তাঁর নিজের লেখা বিভিন্ন বই, বিভিন্ন ফুটেজ এবং আরও নানা মাধ্যমে তাঁর সম্পর্কে জানি।’
শুভ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন সম্পর্কে যতই জানছিলাম ততই মুগ্ধ হচ্ছিলাম। বলতে পারেন আমি মানুষ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রেমে পড়ে গেছি। ১৯২০ থেকে ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধুর জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি পুরো জীবনটাকে যতটা পেরেছি আয়ত্ব করার চেষ্টা করেছি। তাঁর সম্পর্কে এখন আমার অনুভূতি হলো-আহা, একজন মানুষ হিসেবে যদি বঙ্গন্ধুর মতো হয়ে উঠতাম! যে দেশের, যে ভাষার হোক না কেনো একজন মানুষ যদি এভাবে বঙ্গবন্ধুর জীবন সম্পর্কে জানতে পারে তাহলে অবশ্যই তাঁর মতো হতে চাইবে। জীবন এবং রাষ্ট্রের প্রয়োজনে তিনি কখনো ছিলেন বিপ্লবী, কখনো খুব কঠিন, কখনো খুব মানবিক, কখনো খুব নরম। তাঁর ভেতরে রসবোধও ছিল দুর্দান্ত। এমন মানুষ কখনো অন্যের ক্ষতি করতে পারে না।’
‘ঢাকা অ্যাটাক’ খ্যাত নায়ক খুব উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার জীবনের সর্বোচ্চ পুরস্কার বঙ্গবন্ধুর বায়পিকে অভিনয় করতে পারা। আমার শিল্পী জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পতি হয়ে থাকবে এই সিনেমা।’
শুটিংয়ে যাওয়ার আগে অন্য শিল্পীদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভ কামনা নিয়ে এসেছেন আরিফিন শুভও। তখন প্রধানমন্ত্রী আলাদা বসে কথা বলেছেন আরিফিন শুভর সঙ্গে। কি বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী? জানতে চাইলে শুভ বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনেক গভীরে কথা হয়েছে। সেসব বলতে চাই না। শুধু এটুকু বলতে চাই, বিদায় নেওয়ার সময় আমি দূরে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দেখছিলাম। তিনি আমাকে সামনে দেখতে না পেয়ে খোঁজ করলেন। আর হাসি দিয়ে বলে উঠলেন, ‘আমার আব্বা কোথায়?’ এটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ একটা অনুভূতি হয়ে থাকবে।”
আরআইজে