কোরিয়ান সিনেমা ও সিরিজের জনপ্রিয়তা বিশ্বজুড়ে। অনলাইনে সর্বোচ্চ ভিউয়ের তালিকার বিচারে এগিয়ে আছে কোরিয়ান কন্টেন্ট। তাই নেটফ্লিক্সের নজর এখন তাদের দিকে। গত বছর ‌‘নেটফ্লিক্স কোরিয়ান এন্টারটেইনমেন্ট’ নামে আলাদা বিভাগ চালু হয়।

এবার নিজ অর্থায়নে কোরিয়ান সিনেমা দেখাবে নেটফ্লিক্স। এই কারণে কোরিয়ান কন্টেন্টের পেছনে ৭০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে তারা। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে নেটফ্লিক্স এনটারটেইনমেন্ট কোরিয়া প্রতিষ্ঠা করার পর থেকে নেটফ্লিক্স দক্ষিণ কোরিয়ার মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত হয়। 

সেই সময় নেটফ্লিক্সের গ্রাহকের সংখ্যা ছিলো ৩ দশমিক ৬২ মিলিয়ন। ২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ওকজার’ পেছনে ব্যয় করা হয়েছে ৫৪ মিলিয়ন ডলার। এরমধ্য দিয়ে নেটফ্লিক্স দক্ষিণ কোরিয়ার ৭০টি সিনেমা ও শো দেখাবে। 

সুইট হোম, কিংডম, ক্রাশ ল্যান্ডিং অন ইউ, ইটায়ুন ক্লাস, স্টার্ট-আপের মতো কনটেন্টও বিশ্বব্যাপী ১৯০টি দেশে দেখানো হবে।

গল্প নির্বাচন ও নির্মাণের চমক থাকার কারণে কোরিয়ান বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি পুরো বিশ্বে সমাদৃত। গত বছর অস্কার অ্যাওয়ার্ডসে সেরা সিনেমার পুরস্কার দখল করে কোরিয়ান সিনেমা ‘প্যারাসাইট’। এরমধ্য দিয়ে প্রথমবার বিদেশি ভাষার কোনো সিনেমা অস্কারে সেরা নির্বাচিত হয়েছে। আর এতে ইতিহাস গড়লো বং জু হু-এর এই সিনেমা। 

এছাড়াও কোরিয়ান বয়েজ ব্যান্ড ‘বিটিএস’ পুরো বিশ্বে তরুণদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে। ‘গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড’-এর এবারের আসরে মননোয়ন পেয়েছে ব্যান্ডটি। জনপ্রিয় গান ‘ডায়নামাইট’ জন্য মননোয় পায় তারা। লেডি গাগা, টেইলর সুইফটের মতো তারকাদের পাশে উঠেছে তাদের নাম। এছাড়াও পপ গ্রুপ পারফর্মেন্স বিভাগের জন্য মনোনয়ন পেয়েছে বিটিএস।

বিটিএস তাদের প্রথম ইংরেজি গান ‘ডায়নামাইট’ প্রকাশ করেছ। আর এই গান দিয়েই পুরো বিশ্বে তাক লাগিয়ে দিয়েছে তারা। 

এইচএকে/এমআরএম