গণমানুষের শিল্পী খ্যাত ফকির আলমগীর চলে গেছেন না ফেরার দেশে। করোনাভাইরাসের সঙ্গে আটদিন লড়াই করে শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাতে মৃত্যুবরণ করেছেন এই নন্দিত কণ্ঠশিল্পী। তার প্রয়াণে দেশ হারাল গণসংগীতের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রটিকে। তাই শোকস্তব্ধতা ছেয়ে আছে পুরো সংস্কৃতি অঙ্গনে।

ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে সর্বস্তরের মানুষ শোক প্রকাশ করছেন। তবে তিনি যাদের সঙ্গে কাজ করে গেছেন, সেই সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষদের মনে বিষাদের দাগটা বেশিই গাঢ়।

টেলিভিশন জগতের সফলতম সঞ্চালক হানিফ সংকেতের সঙ্গেও ছিল ফকির আলমগীরের দারুণ সখ্য। সেই কথা উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোকপ্রকাশ করেছেন ‘ইত্যাদি’র প্রাণভোমরা।

হানিফ সংকেত লিখেছেন, ‘চলে গেলেন গণমানুষের শিল্পী ফকির আলমগীর। মানবিক গুণাবলিতে মহান এই শিল্পীর অকস্মাৎ মৃত্যু সংবাদে স্বজন হারানোর কষ্ট অনুভব করছি। সম্প্রতি তার অসুস্থতার খবরে বেশ শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। নিয়মিত খোঁজখবরও রাখছিলাম। দুদিন আগেও ভাবির সঙ্গে কথা হয়েছিলো, বলেছিলেন- এখন কিছুটা স্ট্যাবল, দোয়া করেন। কিছুটা আশার আলো দেখেছিলাম। কিন্তু না প্রাণঘাতী করোনার কাছে পরাজিত হয়ে অবশেষে শুক্রবার রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে চিরবিদায় নিলেন স্বাধীন বাংলা বেতারের এই শব্দসৈনিক-বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীর।’

ফকির আলমগীরের কর্মময় জীবনের কথা জানিয়ে হানিফ সংকেত আরও লিখেছেন, ‘বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে পাশে থেকে তিনি যেমন মানুষকে উজ্জীবিত করেছেন, তেমনি শিল্পীদের অধিকার আদায়ের বিভিন্ন কর্মসূচিতেও তিনি সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সবসময় তিনি সবার সুখে দুঃখে পাশে থেকেছেন। তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমার অনেক আড্ডার-অনেক গল্পের-অনেক স্মৃতি। মনে পড়ে আমার অনেক অনুষ্ঠানে উপস্থিতির স্মৃতিময় সময়গুলোর কথা। আমি তার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’

কেআই