ওর মাথায় বিয়ের পাগড়িটা আমিই পরিয়েছিলাম: ফেরদৌস ওয়াহিদ
বাংলা গানে পপ ও গণসংগীত যাদের হাত ধরে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, তাদেরই একজন ছিলেন ফকির আলমগীর। যদিও গণসংগীতেই তার বেশি পরিচিতি, খ্যাতি; তবে তিনি পপ গানেও ছিলেন অগ্রজ। আজম খান, ফিরোজ সাঁই, পিলু মমতাজ ও ফেরদৌস ওয়াহিদের সঙ্গে তিনিও লড়াই করেছেন সংগীতের এই ধারা নিয়ে।
বহু আগেই না ফেরার দেশে চলে গেছেন দেশের পপ ঘরানার তিন পথিকৃৎ আজম খান, পিলু মমতাজ ও ফিরোজ সাঁই। এবার তাদের সঙ্গে যুক্ত হলো ফকির আলমগীরের নাম। যিনি শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাতে মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মাধ্যমে সংগীতে নিজের শেষ বন্ধুটিকেও হারিয়ে ফেললেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। তাই অন্যদের চেয়ে তার কষ্ট, শূন্যতা একটু বেশিই।
বিজ্ঞাপন
ফেরদৌস ওয়াহিদের সঙ্গে ফকির আলমগীরের বন্ধুত্ব দীর্ঘ ৪৮ বছরের। ফলে ব্যক্তিগত জীবনের বহু স্মৃতি জড়িয়ে আছে তাদের মধ্যে। সেই স্মৃতি হাতড়ে ফেরদৌস বললেন, ‘ফকিরের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা গাঢ় হয় ওর বিয়ের সময়। মজার বিষয় হচ্ছে, ওর মাথায় বিয়ের পাগড়িটা আমিই পরিয়েছিলাম। এমন হাজার হাজার গল্প রয়েছে আমাদের।’
গণসংগীত নিয়ে ফকির আলমগীরের লড়াই একেবারে কাছ থেকে দেখেছেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ও-ই একমাত্র মানুষ, যে গণসংগীতটাকে ধরে রেখেছিলো আমৃত্যু। আমি দ্যর্থহীন কণ্ঠে বলে রাখলাম, আজ থেকে বাংলাদেশ গণসংগীতহীন হয়ে গেল। আজ থেকে সংগীতের এই অসাধারণ ধারাটিতে শূন্যতা তৈরি হলো। এই ঘাটতি কবে কে পূরণ করবে, জানি না। আদৌ হবে কি না, তাও জানি না।’
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুলাই মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ফকির আলমগীর। এরপর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এক পর্যায়ে লাইফ সাপোর্টে পর্যন্ত নেওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না কিছুতেই। গণসংগীতের অবিসংবাদিত এই শিল্পী চলেই গেলেন না ফেরার দেশে।
কেআই