ফকির আলমগীর/ ছবি- সংগৃহীত

দেশবরেণ্য গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীরের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ বিষয়ে খোঁজ নিতে ফোন করলে তার স্ত্রী সুরাইয়া আলমগীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফকির আলমগীর বর্তমানে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি আছেন। 

শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় (১৭ জুলাই) তিনি বলেন, ফকির আলমগীর করোনায় আক্রান্ত। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাতে তাকে  ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

রাত ১২টা ২৫ মিনিটে ফকির আলমগীরের ভাতিজা ক্রীড়া সাংবাদিক মহিবুর রহমান ফকির ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফকির আলমগীর কাকা জীবিত আছেন। তার অবস্থা আগের থেকে কিছুটা ভালো। ফেসবুকে মৃত্যুর যে কথা ছড়ানো হচ্ছে তা গুজব। কেউ গুজবে কান দেবেন না, গুজব ছড়াবেন না। তিনি ফকির আলমগীরের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান। 

এর আগে সুরাইয়া আলমগীর জানিয়েছিলেন, গত বুধবার (১৪ জুলাই) ফকির আলমগীরের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। এজন্য তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। এখন তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ফকির আলমগীর একজন কণ্ঠযোদ্ধা। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ছিলেন। অবশ্য এর আগে ষাটের দশক থেকেই গণসংগীত গেয়ে আসছিলেন তিনি। ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে অসামান্য ভূমিকা রাখেন তিনি।

স্বাধীনতার পর ফকির আলমগীর পপ ঘরানার গানে যুক্ত হন। পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে বাংলার লোকজ সুরের সমন্বয় ঘটিয়ে তিনি বহু গান করেছেন। সংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৯ সালে সরকার তাকে একুশে পদক প্রদান করে।

আরআইজে/এইচকে