সিনেমায় প্রতিবাদী, লাল গালিচায় গ্ল্যামারাস বাঁধন!
নীলচে আভা ছড়িয়ে আছে পুরো সিনেমায়। সেখানে সাদাসিধে একজন অধ্যাপকের ভূমিকায় বাঁধন। কিন্তু তার ভেতরে জটিলতার জাহাজ। একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি হয়ে ওঠেন প্রতিবাদী। তারপর দেখা যায় ভিন্ন রূপ।
চরিত্রের প্রয়োজনে গ্ল্যামারহীন অবয়বে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’-এ অভিনয় করেছেন আজমেরী হক বাঁধন। যার জন্য কান ফেস্টিভ্যালের মতো মর্যাদাপূর্ণ আয়োজনে ভূয়সী প্রশংসা পাচ্ছেন তিনি। উৎসবের আঁ সার্তে রিগা বিভাগে প্রথম প্রদর্শনীর পর স্ট্যান্ডিং ওভেশন পেয়েছে সিনেমাটি।
বিজ্ঞাপন
সিনেমার পর্দায় বাঁধনকে নিরস রূপে দেখা গেলেও কানের লাল গালিচায় তিনি মোহময়ী হয়ে ধরা দিয়েছেন। একবার ঢাকাই জামদানি শাড়ি, অতঃপর মেরুন রঙের গাউন, আবার ছাই রঙা গাউনে রূপের আবেদন ছড়িয়েছেন এই বাঙালি নারী।
শুক্রবার (৯ জুলাই) স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৪০ মিনিটে কান উৎসবের মূল ভেন্যু পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনে আসে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ টিম। গাড়ি থেকে নামার পরই দেখা যায়, সবার পরনে নির্ধারিত কালো স্যুট, আর বাঁধন পরেছেন ছাই রঙের কাঁধখোলা শর্ট গাউন। গালিচা মাড়িয়ে তিনি যখন হাঁটলেন, যখন যেন আশেপাশে ছড়িয়ে গেলো গ্ল্যামারের দ্যুতি।
এর আগে পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের ছাদবারান্দায় ফটোসেশনে অংশ নেন বাঁধন। তখন তার পরনে ছিল মেরুন রঙের গাউন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফটোগ্রাফাররা দারুণ আগ্রহের সঙ্গে তাকে ক্যামেরাবন্দি করেছিল।
গত ৭ জুলাই পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের সাল দুবুসি প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হয় ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। পর দিন আরও দুটি প্রদর্শনী হয় সিনেমাটির। আঁ সার্তে রিগা বিভাগে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’-এর প্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৯টি সিনেমা। সবগুলো সিনেমার প্রদর্শনী শেষে আগামী ১৬ জুলাই ঘোষণা করা হবে পুরস্কার।
কেআই/আরআইজে