চঞ্চলের প্রতি বিশেষ শিশুর ভালোবাসা, ভিডিও ভাইরাল!
দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর ভক্ত ছড়িয়ে আছে সারা দেশে। নানান বয়সী মানুষ তার অভিনয় ভালোবাসেন, তার ব্যক্তিত্ব ভালোবাসেন। এসব ভক্তের ভালোবাসা পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করেন তিনি।
তবে সোমবার (৫ জুলাই) চঞ্চল তার এক বিশেষ ভক্তের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। যার নাম হৃদয়। সেই ভক্তের সঙ্গে চঞ্চলের আলাপচারিতার ভিডিওটি ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে। কেবল চঞ্চলের পেজ থেকেই ভিডিওটি দেখেছে ১৪ লাখ মানুষ। ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি রিঅ্যাকশন এবং সাড়ে ছয় হাজারের বেশি শেয়ার হয়েছে ভিডিওটিও।
বিজ্ঞাপন
এতে যেই ছেলেটিকে দেখা গেছে, সে মূলত বিশেষ শিশু। অন্য সবার মতো করে সে কথা বলতে পারে না। তবে চঞ্চলের প্রতি তার ভালোবাসা একেবারে নিখাদ। ‘মনপুরা’ সিনেমার গানও তার মুখস্ত। সে গান গেয়ে চঞ্চলকেও শুনিয়েছেন।
বিশেষ এই ভিডিও শেয়ার দিয়ে ক্যাপশনে চঞ্চল বেশ কিছু কথা লিখেছেন। তা হলো: অতি প্রশংসা বা সম্মান প্রদর্শনের আরেক নাম তৈল মর্দন। যেমন, মাঝে মধ্যেই আমার পোস্টের কমেন্টে বা ইনবক্সে আমাকে ‘কিংবদন্তি’ অভিনেতা হিসেবে অভিহিত করে অনেকেই অনেক প্রশংসা করে থাকেন। তাতে আমি আনন্দিত বা গর্বিত হওয়ার চেয়ে, অনেক বেশি বিব্রত হই। সোজা সাপ্টা কথা বলি। আসলে এতো বড় ‘বিশেষণ’ ধারণ করার যোগ্যতা আমার নেই। ‘অভিনেতা’ বা ‘প্রিয় অভিনেতা’ এটুকু বললেই আমি মহা আনন্দিত বা আহ্লাদিত হই। অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। অতি প্রশংসা বা সম্মান প্রদর্শনের আরেক নাম তৈল মর্দন। যেমন, মাঝে মধ্যেই আমার পোস্টের কমেন্টে...
সবার অবগতির জন্য চঞ্চল আরও লিখেছেন, জীবিত কালেই যদি সকল ‘উপাধি’ এবং ‘বিশেষণ’ প্রদান শেষ হয়ে যায়, তাহলে মৃত্যুর পরে দেবার মতো এরকম ‘বিশেষণ’ বা ‘উপাধি’র আকাল হবে। একজন মানুষকে অতি প্রশংসায়, এমন উঁচুতে কখনো তোলা উচিত নয়, যাতে সেখান থেকে পড়ে গিয়ে তার ঠ্যাং হাত পা ভেঙে যায়। কারণ, একজন মানুষ যতো বেশি প্রশংসিত হন, তার গালি খাওয়ার রাস্তাটিও ততই সুপ্রশস্ত হয়। আমার কাছে সবচেয়ে বড় উপাধি ‘একজন ভালো মানুষ’।
ভিডিওতে থাকা ছেলেটির পরিচয় দিয়ে এ অভিনেতা লিখেছেন, নিচের ভিডিওতে যে ছেলেটাকে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, ওর নাম ‘হৃদয়’। কিছুদিন আগে উত্তরায় একটা শুটিং লোকেশনে ওর সাথে দেখা। দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। তারপরের অংশ টুকু আমার মেকআপ আর্টিস্ট মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেছিল। এতো মানুষের ভালোবাসা। এটাই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন। শ্রেষ্ঠ পুরস্কার।
কেআই/আরআইজে