করোনা পরিস্থিতি আর ইয়াস পরবর্তী সময়ে যে সব তারকারা সাধারণ মানুষের পাশে সক্রিয়ভাবে দাঁড়িয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম যীশু সেনগুপ্ত। ইয়াস দুর্গতদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে তাদের জন্য মেডিক্যাল ক্যাম্পের আয়োজন করা, কিছুই বাদ দেননি অভিনেতা। দক্ষিণ ২৪ পরগণার পাথরপ্রতিমায় ত্রাণ পৌঁছাতে গিয়ে বিপদের সম্মুখীন হন অভিনেতা।

সম্প্রতি বারুইপুর জেলা পুলিশের অন্তর্গত মৈপীঠ কোস্টাল থানা পেরিয়ে জলপথে পাথরপ্রতিমা এলাকার গঙ্গারামপুরে ইয়াস দুর্গতদের ত্রাণসামগ্রী দিতে যান যীশু। ত্রাণ বিতরণ করে মৈপীঠ হয়ে কলকাতা ফেরার পথে পাথরপ্রতিমা থানার বর্ডারিং কে-প্লটের জিরো পয়েন্টে ইঞ্জিন খারাপ হয়ে যায় তাদের জলযানের। অগত্যা মাঝনদীতে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকেন তারা।

কথায় বলে ‘যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়’! আর এখানে তো জলে কুমীর ডাঙায় বাঘ, এদিকে বিকেল পেরিয়ে দ্রুত সন্ধ্যা নামতেই শুরু হয় বিপদের আশঙ্কা। এমন সময়ে খবর আসে মৈপীঠ কোস্টাল থানায় বড়বাবু প্রদীপ পালের কাছে। তিনি দ্রুত থানার এস আই বলরাম মন্ডলকে টীমসহ থানার পুলিশ লঞ্চ দিয়ে নদীপথে পাঠিয়ে দেন পাথরপ্রতিমা থানার বর্ডারিং জিরো পয়েন্টে। 

সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত নামবে নামবে, ঘড়ির কাঁটায় ঠিক ৮টা বাজে। এমন সময় ঘন অন্ধকারে নদীর বুক চিরে পুলিশ লঞ্চের আগমন আশ্বস্ত করে যীশুসহ দলের বাকিদের। একে একে সকলেই তাদের নৌকা থেকে পুলিশ বোটে চলে আসেন। এরপর লঞ্চ পৌঁছে যায় মৈপীঠ থানার অন্তর্গত গঙ্গা ঘাটে। তারপর অপেক্ষারত গাড়িতে করে যীশু এবং বাকি সকলে রওনা দেন কলকাতার উদ্দেশ্যে। তবে এভাবে সমূহ বিপদের হাত থেকে ফিরে পুলিশ টীমকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি যীশু সেনগুপ্ত।

আজতাক