কিছুদিন আগে অস্কার মনোনীত পুতুল ছবির অন্যতম কণ্ঠশিল্পী ত্রিনঞ্জনা দাস দাবি করেন যে তিনি এই ছবিতে ভয়েস ওভারের কাজ করলেও সব খ্যাতি, জনপ্রিয়তা নির্দিষ্ট কিছু মানুষের জন্য। এমনকি এটাও দাবি করেন যে অস্কার মনোনীত ছবিটির একটি মুখ্য চরিত্রে তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন। 

এবার ছবির পরিচালক ইন্দিরা ধর মুখার্জি জানালেন কণ্ঠশিল্পী যা জানিয়েছেন সম্পূর্ণ মিথ্যা। কিছুদিন আগে ত্রিনঞ্জনা দাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুতুল ছবির নির্মাতাদের বিরুদ্ধে কিছু দাবি করেন। 

ত্রিনঞ্জনা তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘শুধু কণ্ঠশিল্পীরা রয়ে যায় আড়ালে। গর্ব হচ্ছে তো বাঙালি হিসেবে? অবশ্যই! গর্ব তো হওয়ার কথাই । একজন বাঙালি পরিচালক, সংগীতকার, এবং ক্রূর সকলেই কমবেশি বাঙালি, বিশ্বের দরবারে বাংলার নাম উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়ে উঠছে। সেখানে আমরা কি করে বলুন তো চুপচাপ থাকি?’

‘তবে আমার গর্বিত হওয়ার কারণ টা একটু আলাদা। এক মুখ্য চরিত্রের জন্য আমি কণ্ঠ দিয়েছি ভেবে ভালোই লাগছে। তবে কিছুটা অবাকও লাগছে, কারণ এই সব ঢাক-ঢোল, জাঁকজমক, জৌলুস সকলই কেবল বরাদ্দ থাকলো হাতে-গোনা, কয়েকজন পরিচিত নাম, এবং মুখের জন্য। অবশ্যই, আমরা বাচিকশিল্পীরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি নেপথ্যের ভূমিকায় থেকে থেকে।’

তিনি আরও লেখেন, ‘কোনও দিন কাজ চাইতে পিছপা হইনি, বিনয়ী থেকেছি, সম্মান করেছি সব ধরনের কাজের তাহলে আমার সম্মানের কদর থাকবেনা কেন? অযৌক্তিক আবদার মেনে নিতে বাধ্য হবো কেন? ঠোঁটকাটা হলে কাজ থাকবে না.. আর সব অন্যায় মেনে নিলে শিরদাঁড়া থাকবে না।’

এ বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে ইন্দিরা বলেন, ‘কণ্ঠশিল্পী যা দাবি করেছেন সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি কোনও মুখ্য চরিত্রের জন্য কণ্ঠ দেননি। বরং এক পার্শ্ব চরিত্রের জন্য কণ্ঠ দিয়েছেন। আমরা আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি তার বিরুদ্ধে।’ 

এদিকে ইন্দিরা পালটা পোস্টে লেখেন, ‘মুমতাজ সরকার বা ভেনেসা পুতুল ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ডাবিং তারাই করেছেন। কোনও ডাবিং শিল্পী কিছু দাবি করে থাকলে সেটা সম্পূর্ণ তার নিজের পাবলিসিটির জন্য করেছেন। সেগুলো সম্পূর্ণ ভুল এবং আমরা এটার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

প্রসঙ্গত, পুতুল ছবিটি আগামী ২৭ ডিসেম্বর মুক্তি পাকে বড় পর্দায়। অস্কারের সেরা অরিজিন্যাল গান বিভাগে মনোনীত হয়েছে এই ছবির গান ইতি মা। সেই গানটি গেয়েছেন ইমন চক্রবর্তী এবং মিউজিক ডিরেক্টর হিসেবে ছিলেন সায়ন গঙ্গোপাধ্যায়।

এমআইকে