শোবিজের পাশাপাশি ব্যবসাতেও যোগ থাকার নজির রয়েছে বলিউড, টালিউড ইন্ডাস্ট্রিজের বহু শিল্পীদের। তাদের তালিকায় শুধু স্বল্প পরিচিত শিল্পীরাই নন, আছেন খ্যাতনামীরাও।

মিডিয়ার পেশায় যুক্তদের একাংশ মনে করেন এসব ফিল্ডে কাজের স্থায়িত্ব কম। তাই তো বিকল্প একটি জীবিকার ব্যবস্থা রেখে দেন অনেক শিল্পী, তারকারা। সেক্ষেত্রে তাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে রেস্তোরাঁর ব্যবসা। ইদানীং ভারতের তারকাদের মাঝে এই প্রবণতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

যেমন বলিউডের মিঠুন চক্রবর্তী, অক্ষয় কুমার-সহ তাবড় তারকাদের নিজস্ব রেস্তোরাঁ রয়েছে। পিছিয়ে নেই টালিউড। অভিনেতা দেবেরও রেস্তোরাঁ রয়েছে। এখনকার সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা সৌরভ দাস-সব্যসাচী চৌধুরীর রেস্তোরাঁও রয়েছে। যদিও অনিশ্চিত পেশার কারণে তারা বাণিজ্যে মনোনিবেশ করেছেন, এমন নয়। জানা গেছে, সৌরভ-সব্যসাচী দ্বিতীয় রেস্তোরাঁ খুলতে চলেছেন চলতি মাসে।

কিছু দিন আগে কাজের অভাবে প্রায় একই পথে হেঁটেছেন পরিচালক অয়ন সেনগুপ্ত। টানা দু’বছর বসে থাকার পর অন্ন সংস্থানের কারণে তিনি ফুটপাতে মুখরোচক খাবারের দোকান দিয়েছেন। ভবিষ্যতে তাদের যাতে এই সমস্যায় পড়তে না হয় সেই ভাবনা থেকেই কি দ্বিতীয় রেস্তোরাঁর ভাবনা? 

ভারতীয় গণমাধ্যমে সৌরভ-সব্যসাচী জানালেন, তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা।

সব্যসাচীর দাবি, ‘সৌরভ কাজের চাপে দম ফেলার সুযোগ পান না। তাই রেস্তোরাঁর দেখভাল তুলনায় আমি বেশি করি।‘ পাশাপাশি এ-ও স্পষ্ট করে দিলেন, তার মানে এই নয় যে তার হাতে কাজ নেই। আপাতত ধারাবাহিক থেকে দূরে অভিনেতা। বদলে লেখালিখি, ছোট ছবি পরিচালনা নিয়ে ব্যস্ত। একই কথা জানিয়েছেন সৌরভও। তাদের কথায়, ‘অভিনয়ের কাজ কম পাচ্ছি তাই রেস্তোরাঁ খুলছি এমন হলে এত দিনে শহরে তিনটে রেস্তোরাঁ চেন হত। সেটা নয় বলেই দ্বিতীয় রেস্তোরাঁ খুলতে ১০ মাসেরও বেশি সময় লেগে গেল।’

সৌরভের কথায়, ‘অভিনয় আমাদের পেশা। রেস্তোরাঁ আমাদের প্যাশন। সেই জায়গা থেকেই এই পথে হাঁটা। যাতে পেশাও থাকে, প্যাশনও। কাজ নেই বলে বা আগামীতে যদি কাজ না থাকে- এই ভাবনা থেকে রেস্তোরাঁ খুলেছি, এই ভাবনা অমূলক।’

ডিএ