প্রশ্ন দীপ্তি চৌধুরীর
বডি শেমিং, ট্রলিং, হ্যারাসমেন্ট— ক্লান্ত লাগে না আপনাদের?
উপস্থাপনা দিয়ে নজর কেড়ে আলোচনায় আসেন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টক শো ‘টু দ্য পয়েন্ট’-এর সঞ্চালক দীপ্তি চৌধুরী। বিশেষ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন বিচারপতি মানিকের বিপরীতে ধৈর্য ও ভদ্রোচিত আচরণের মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে সবার নজর কাড়েন তিনি।
এরপর সরাসরি নায়িকা হওয়ার প্রস্তাব পান এই উপস্থাপিকা। কিন্তু সেই প্রস্তাবে সায় না দিয়ে নিজের উপস্থাপনা নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করেন দীপ্তি। নতুন একটি অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্ব নেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
তবে এরই মধ্যে খ্যাতির বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে দীপ্তিকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে একটি মহল নানারকম কুৎসা রটানোর চেষ্টা করছে।
যেখানে দাবি করা হচ্ছে, ‘মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান’ নয় দীপ্তি। মূলত ‘টু দ্য পয়েন্ট’ টক-শোতে বিচারপতি মানিকের এক মন্তব্যের জবাবে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে দাবি করেন এই উপস্থাপিকা।
যেই দাবিকে মিথ্যা প্রমাণের চেষ্টা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে দীপ্তির মুক্তিযোদ্ধা বাবার পরিচয়ও জানতে চাওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি উপস্থাপিকার বয়স নিয়ে বিভিন্ন কটু মন্তব্য করছে।
আরও পড়ুন
বিষয়গুলো নজরে এসেছে এই উপস্থাপিকার। যে কারণে অনেকটা বিরক্ত হয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন তিনি।
শুক্রবার নিজের ফেসবুক ফ্যানপেজে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে দীপ্তি লিখেছেন, বডি শেমিং, ট্রলিং, পলিটিকাল হ্যারাসমেন্ট আরও কত কিছু! একটার পর একটা। ক্লান্ত লাগে না আপনাদের? একবারও বুক কাঁপে না শুধুমাত্র রাজনৈতিক জেদ থেকে এমন মিথ্যাচার করতে? আমার নিরপেক্ষতা আপনাদের জন্য সুফল বয়ে আনলো না বলে এতো কিছু করতে হবে? একবার ভেবে দেখবেন।
দীপ্তির সেই পোস্টে নেটিজেনরাও বিভিন্ন ধরণের মন্তব্য করেছেন। কেউ তাকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। কেউ তাকে ধৈর্য্য ধরে নিজের কাজটাই করে যেতে বলেছেন।
এনএইচ