বিশ্বখ্যাত হংকংয়ের অভিনেতা জ্যাকি চেনের সঙ্গে ছবির দৃশ্যে মিশেলে ইয়োহ। পাশে অস্কার জয়ের ছবি।

জীবনে যত যশ খ্যাতি যা আছে তার সবই পেয়েছেন। অভিনয় করেছেন বিশ্বের সেরা সব চলচ্চিত্রে। যার প্রতিদান হিসেবে গত বছর জিতেছেন অস্কার।

তবে এত কিছু পেলেও জীবনে মা না হতে পারার দুঃখ রয়েছে তার জীবনে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে ৬২ বছর বয়সী অভিনেত্রী মিশেলে ইয়োহ বলেছেন, সন্তানের মা হতে না পারায় নিজেকে ‘ব্যর্থ’ মনে হয় তার।

অস্কারজয়ী এই অভিনেত্রী বলেছেন, তিনি সবসময় মা হতে চাইতেন। প্রথম স্বামী ব্যবসায়ী স্যার ডিকসন পুনকে বিয়ে করার অন্যতম কারণ ছিল ‘সন্তানের মা হওয়া’। কিন্তু এটি সম্ভব হয়নি।

সন্তান জন্মদানের জন্য চিকিৎসা করিয়েছেন তিনি। তবে কাজ হয়নি। এ নিয়ে কষ্ট পেতেন। তবে একটা সময় গিয়ে নিজেকে দোষারোপ করা বন্ধ করে দেন। তিনি বলেছেন, “একটা সময় গিয়ে নিজেকে দোষারোপ করা বন্ধ করে দিলাম। আমার মনে একটা সময় আপনি নিজেকে দোষারোপ বন্ধ করে দেবেন। আপনার শরীরের কিছু কার্যক্রম আছে যেটি সঠিকভাবে কাজ করে না।”

প্রথম স্বামীর সঙ্গে ১৯৮৮ সালে বিয়ে হওয়ার পর ১৯৯২ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। মূলত সন্তান না হওয়াই আপোষে বিচ্ছেদ করে নেন তিনি। কারণ তিনি তার স্বামীর চাওয়া অনুযায়ী সন্তান দিতে পারছিলেন না।

বিবিসির উপস্থাপিকা ৬২ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীকে জিজ্ঞেস করেন এ বিষয়টি এখনো তাকে দুঃখ দেয় কিনা যখন মনে করেন তিনি কখনো মা হতে পারবেন। উত্তরে তিনি জানান দুঃখ দেয়। যদিও তিনি এই বয়সে মা হতে পারবেন না।

তবে ২০২৩ সালে তিনি আবারও বিয়ে করেন। তার এই স্বামীর ঘরের ছেলের একটি শিশু রয়েছে। এই শিশুকে নিজের নাতির মতো দেখেন তিনি।

‘এভরিথিং এভরিহোয়ার অল অ্যাট ওয়ান্স’ ছবিতে অভিনয় করে গত বছর অস্কার পান তিনি। এছাড়া ‘টুমোরো নেভার ডায়েস’, ‘ক্রাউচিং টাইগার’, ‘হিডেন ড্রাগন’ এবং ‘ক্রেজি রিচ এশিয়ান’-এর মতো ছবিগুলোতেও অভিনয় করেছেন তিনি।

সূত্র: বিবিসি

এমটিআই