মদ বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছেন না ভারতীয় গায়ক দিলজিৎ দোসাঞ্জের। গত ১৫ নভেম্বর হায়দেরাবাদে এক অনুষ্ঠানে মঞ্চে ওঠার আগে দিলজিৎকে আইনি নোটিশ দেয় তেলঙ্গনা সরকার। আপত্তি, গায়কের গানে থাকা 'পাতিয়ালা পেগ' শব্দে। গানের মাধ্যমে নাকি মদ্যপানের প্রচার করছেন গায়ক, এমনই অভিযোগ। হায়দেরাবাদের সেই অনুষ্ঠানের আগে গানের কথা বদলে দেন দিলজিৎ।

তারপরই রটে যায়, আহমেদাবাদে শো করার আগেও নাকি দিলজিৎকে আইনি নোটিশ দিয়েছিল গুজরাট সরকার। তাতেই বেশ ক্ষুব্ধ হন গায়ক। একদিকে যেমন বলিউডকে তুলাধুনা করলেন, আবার সরকারকেও এক হাত নিলেন।

রোববার গুজরাতের আহমেদাবাদে ছিল দিলজিতের গানের অনুষ্ঠান। সেই মঞ্চে গান গাইতে গাইতে তিনি জানান, এই শো-এর আগে কোনো আইনি নোটিশ তিনি পাননি। যেহেতু গুজরাতে মদ নিষিদ্ধ তাই 'অ্যালকোহল' গানটি করেননি। তার কথায়, ‘আমি এ ধরনের গান আজ গাইব না। আমি আমার গানের মাধ্যমে কাউকে মদ খেতে উদ্বুদ্ধ করছি না। কারণ নিজে মদ খাই না। কিন্তু বলিউড তারকারা অনেকে তো মদের বিজ্ঞাপনও করেন। দিলজিৎ দোসাঞ্জকে কিন্তু এমন বিজ্ঞাপনে দেখবেন না কোনোদিন। তাই আমাকে একদম ঘাঁটাবেন না। আমি যেখানে যাই সেখানে চুপচাপ নিজের অনুষ্ঠান করে বেরিয়ে আসি। শুধু নিজের কাজ করি, অযথা বিরক্ত করবেন না।’

শুধু যে বলিউড তারকাদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তেমন নয়। তিনি দেশের সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে বলেন, ‘দেশের সব রাজ্যগুলোতে মদ নিষিদ্ধ করুন। যখন সেটা করবেন, পরের দিন থেকেই দিলজিৎ আর কখনও 'শরাব পি' গানটা গাইবে না। আমি প্রতিজ্ঞা করলাম। এরপরই দিলজিতের প্রশ্ন, এটা কি সম্ভব হবে?’ 

দিলজিৎ বলেন, ‘এই ব্যবসায় আসলে অনেক লাভ। করোনাতে যখন পুরো দেশ বন্ধ ছিল, তখনও কিন্তু মদের ঠেক খোলা থেকেছে। আর আজকে এত বড় বড় কথা গান নিয়ে! যুবপ্রজন্মকে অত বোকা ভাববেন না। আমি গত ১০ দিনে দুটো ভক্তিগীতি গেয়েছি। কই সেই গান গুলো নিয়ে কথা হয় না। আমি চাই অমৃতসরে মদ নিষিদ্ধ হোক। কারণ সেখানে স্বর্ণমন্দির আছে। সেটা কি করা সম্ভব? আপনারা ঠেক বন্ধ করুন আমি মদের উপর গান বন্ধ করে দেব।’

ডিএ