‘সৌমিত্র আমার মেন্টর ছিলেন না, তার থেকে কিছু শিখিনি’
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রত চ্যাটার্জি ও প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চ্যাটার্জি একসঙ্গে একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন। কিংবদন্তি অভিনেতার জীবনী অবলম্বনে পরমব্রত বানিয়েছেন অভিযান ছবিটিও।
এদিকে ‘ফেলুদা’র সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমকে তিনি জানালেন প্রয়াত অভিনেতা নাকি তার দেখা অন্যতম ‘জটিল মানুষ’।
বিজ্ঞাপন
সাক্ষাৎকারে পরমব্রত বলেন, ‘সৌমিত্র চ্যাটার্জি আমার দেখা জটিলতম মানুষগুলোর একজন। আমার এই ৪৩ বছরের জীবনে আমার দেখা জটিলতম মানুষের একজন।’
অভিনেতার কথায়,‘একটা মানুষের মধ্যে ডক্টর জেকিল এবং মিস্টার হাইড থাকতে পারে এটা আমরা অনেক মানুষের মধ্যে দিয়ে বুঝতে পারি। একটা মানুষের মধ্যে কতগুলো মানুষ বাস করতে পারে সেটার একটা উৎকৃষ্ট উদাহরণ ছিলেন সৌমিত্র জেঠু।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেদিন সৌমিত্র জেঠু মারা যান আমি তখন সুদূর হিমাচলে বসে ছিলাম। একটা শ্যুট ছিল আমার, অনেকেই তখন ফোন করে জানতে চান আমার মন খারাপ কিনা। অনেককেই সেই সময় বলতে শুনেছিলাম সৌমিত্র জেঠু তাদের মেন্টর ছিলেন, অনেক কিছু শিখেছিলেন তার থেকে। আমি তার থেকে কিচ্ছু শিখিনি। সে আমার গুরু, মেন্টর, শিক্ষক ছিলেন না।’
‘সে আমার বিষয় ছিলেন সাবজেক্ট ছিলেন। আমার মন খারাপ হয়েছিল, আমি একা কাটিয়েছিলাম গোটা দিন। কিন্তু সেই মন খারাপের কারণ একটাই ছিল যে এই লোকগুলো মানুষ নামক যে অস্তিত্ব আছে, সেটাকে পারসোনিফাই করে।’
পরমব্রতর ভাষ্য, ‘মানুষ যে খুব জটিল, আনপ্রেডিক্টেবল একটা জীব সেটা পৃথিবীর সামনে প্রতিষ্ঠা করে এই ধরনের চরিত্রগুলো, সৌমিত্র চ্যাটার্জির মতো মানুষরা। মানুষ যে ভীষণ ভাবে আনপ্রেডিক্টেবল, অনিশ্চিত, ইনকনসিস্টেন্ট জীব সেটা বোঝায়। তার গুণাবলীর কথায় আমি যাচ্ছি না, সেটা আমার বলার অপেক্ষা রাখে না। আমি বলছি, আমি তা যেভাবে দেখেছি। আমি আমার ছবিতেও সেটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি সীমিত পরিসরে।’
এমআইকে