সিজন ৩-তে ইঙ্গিত ছিল যে এখানেই শেষ নয়, পঞ্চায়েত। বোঝাই গিয়েছিল সিজন ৪ আসবে। তবে সিরিজের টিমের পক্ষ থেকে বিষয়টা গোপন রাখা হয়েছিল। অবশেষে ফাঁস হল ‘পঞ্চায়েত ৪’-এর প্রথম দিনের শুটিংয়ের ছবি। আর প্রথম দিনই শুটিং ফ্লোরে অবাক কাণ্ড করে বসলেন অভিনেতা জিতেন্দ্র কুমার। যা দেখে শুটিং ফ্লোরে তুমুল হইচই।

সম্প্রতি আমাজন প্রাইম ভিডিওর পক্ষ থেকে সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে ‘পঞ্চায়েত ৪’-এর শুটিংয়ের ছবি। যেখানে দেখা যায় জিতেন্দ্র কুমার, চন্দন রায়, ফয়জল মালিককে। এদিকে শুটিংয়ের ফাঁকে তারা চা খেতে ব্যস্ত। আর সেই সময়ই গোল বাঁধালেন জিতেন্দ্র।

ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্যামেরার সামনে নাকি শট দেওয়ার সময় জিতেন্দ্র বার বার হেসেই কুপোকাত হচ্ছিলেন। পরিচালকের অ্যাকশন ডাক শুনেও একটি বারের জন্যও সিরিয়াস হচ্ছিলেন না জিতেন্দ্র। আর তা নিয়েই গোটা শুটিং ফ্লোরে হইচই, শুটিংয়ে সবার স্ট্রেশ কমাতেই এমনটা করেছেন জিতেন্দ্র। তবে পরে ভালো ভাবে শট দিয়েছেন অভিনেতা।

২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে আমাজন প্রাইমে দেখা যাচ্ছে ‘পঞ্চায়েত’। প্রথম মরশুম থেকেই ফুলেরা গ্রাম ও তার সচিবজির প্রেমে পড়ে যান অনুরাগীরা। দ্বিতীয় মরশুমেও এর অন্যথা হয়নি। ফুলেরা গ্রামের কাণ্ড-কারখানা যেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও আকর্ষণীয় হতে থাকে। বাড়তি পাওনা ছিল সচিবজি (জিতেন্দ্র কুমার) ও প্রধানজির মেয়ে রিঙ্কির হালকা প্রেমের ছোঁয়া।

‘পঞ্চায়েত’-এর তৃতীয় মরশুমের মতোই ফুলেরা গ্রাম এবার আরও পরিণত। পূর্ব ফুলেরা ধুঁকলেও পশ্চিম প্রান্তে পাকা ঘরবাড়ির ভিড়। তবে ইলেকট্রিক এলেও কিংবা সিসিটিভি লাগানো গেলেও গ্রামের রাস্তা এখনও সারাই করা সম্ভব হয়নি। আর সেটাই পরবর্তী পঞ্চায়েত ভোটের আগে ‘মুদ্দা’ হিসেবে বিরোধীদের ষড়যন্ত্রের মূল উপাদান। যার নেতৃত্বে ‘বনরাকস’ ওরফে ভূষণ। 

বরাবরই এই সিরিজ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক মানুষগুলোর কথা বলে এসেছে। একটা গ্রাম পঞ্চায়েতে সেখানকার প্রধান, বিধায়ক, জেলাশাসকের কী ভূমিকা? কিংবা সরকারি সিস্টেমের স্তরগুলোয় কাজের যে গাফিলতি বা শান্তির সহাবস্থানের জন্য যে কৌশল প্রয়োগ করা হয়, সেটা এই সিরিজের ছত্রে ছত্রে গেঁথে দেওয়া হয়েছে। 

পেটের টান-সংসারের অভাব কীভাবে নাতি-ঠাকুমার সম্পর্ককেও যাঁতাকলে পিষে দেয়, দেখাল দীপক কুমার মিশ্র পরিচালিত ‘পঞ্চায়েত ৩’। সিজন ৪-এ ঠিক গল্প বলতে চলেছে পঞ্চায়েত। তা নিয়ে অবশ্য টিমের পক্ষ থেকে কিছু বলেনি।

এমআইকে