ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ, অন্যদিকে ছোট পর্দার বর্তমান সময়ের অভিনেতা আরশ খান। দু’জনে দুই পর্দার মানুষ হলেও অভিনয়ের জগতে তারা একই অঙ্গনের মানুষ। 

যে কারণে দু’জনের সঙ্গেই কাজ করার সুযোগ হয়েছে অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালের। ‘ন ডরাই’ সিনেমা দিয়ে বড়পর্দায় পা রাখেন এই অভিনেত্রী। এরপর কাজ করেছেন ছোট পর্দায়, ওটিটি প্লাটফর্মেও। 

সম্প্রতি মাবরুর রশীদ বান্নাহ’র পরিচালনায় ‘তুমি আমি, আমি তুমি’ ও ‘ছুঁয়ে দেখা স্পন্দন’ শিরোনামের দুইটি নাটকে অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী। যেখানে তার সহশিল্পী হিসেবে আছেন অভিনেতা আরশ খান। 

প্রথমবারের মতো আরশের সঙ্গে কাজ করে এক জায়গাতে মিল খুঁজে পেয়েছেন সুনেরাহ। সেটি হচ্ছে, তার প্রথম সিনেমার নায়ক শরিফুল রাজের মতোই নাকি এই অভিনেতার কাজের প্রতি ভালোবাসা। 

সুনেরাহ বলেন, ‘আমার সঙ্গে আরশের পরিচয় ছিল না। আগে থেকে সেভাবে তাকে চিনতাম না। শুটিংয়েই পরিচয়। তবে শুটিং করে মনে হয়েছে ছেলেটির চরিত্রে ডুবে থাকা নেশার মতো।’

একটু ব্যাখ্যা টেনে নায়ক শরিফুল রাজের সঙ্গে উদাহরণ টেনে অভিনেত্রী বললেন, ‘এর আগে শরিফুল রাজকে দেখেছি অভিনয়ের জন্য পারলে জানপ্রাণ দিয়ে দেয়। আরশের মধ্যেও সেটা লক্ষ করলাম। আরশও তার মতো। পুরো সময় সে চরিত্রের মধ্যেই থাকে। অন্য কোনো বাজে অভ্যাস নেই। বাজে অভ্যাস বলতে সে শুটিংয়ের সময় মোবাইলে কথা বলে না। শুটিং থামিয়ে বলে না দুই মিনিট, আসছি…। বরং অ্যাকশন বলার আগেই সে দৃশ্যের জন্য অপেক্ষা করে। চরিত্রের মধ্যে থাকে। অনেক সহযোগী একজন কো-আর্টিস্ট।’

নির্মাতা মাবরুর রশিদ বান্নাহ বলেন, ‘সুনেরাহকে নিয়ে প্রথমবার কাজ করেছি। অভিনয়ে সে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। এক টানা দুটি নাটকের কাজ করছি তাকে নিয়ে। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে নাটকের দৃশ্যধারণ। আশা করছি, সুনেরাহর সঙ্গে অভিনেতা আরশের জুটি দর্শক গ্রহণ করবেন।’

এনএইচ