সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে ‘দাদা সাহেব ফালকে’ পুরস্কার গ্রহণ করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ইন্ডাস্ট্রির নেপোটিজম ও নিজের ছেলেদের এই বিনোদন জগতে কাজ করা নিয়ে মুখ খোলেন।

মিঠুন জানান, তিনি নেপোটিজম বিশ্বাসী নন। অভিনেতা নিজে কঠোর পরিশ্রম করে নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছেন। তার এই ইন্ডাস্ট্রিতে কোনও গডফাদার ছিল না। তাই তিনি চান তার সন্তানরাও যেন নিজের পরিশ্রমে সেই জায়গা করেন, কেবল বাবার নামের জোরে যেন প্রতিষ্ঠিত না হন সেটা মাথায় রেখেছেন সব সময়।

সাক্ষাৎকারে জানতে চাওয়া হয় যে বলিউড একটি ‘পারিবারিক শিল্প’ কিনা এ প্রশ্নের উত্তরে অভিনেতা বলেন, ‘আমি একমত নই। আমার চার সন্তান আছে, আর তারা চারজনই বিনোদন জগতে কাজ করেন। আমি আজ পর্যন্ত কোনও প্রযোজককে, ওদের হয়ে কিছু বলিনি। কখনও বলিনি যে আমার ছেলেদের সুযোগ দিন।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি কারুর বাবা হিরো হন, তাহলে তাকে যে হিরো হতেই হবে তার কোনও মানে নেই। তার মধ্যে ট্যালেন্টও থাকতে হবে। আর যদি ট্যালেন্ট না থাকে তো অনেক ধন্যবাদ, আপনি যেতে পারেন। যদি কারও বাবা অভিনেতা এবং ছেলেও অভিনেতা হয়ে যান, তাহলে ছেলেরও প্রতিভা রয়েছে সেটা মনে রাখবেন।’

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতে পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন অভিনেতা। এবার বর্ষীয়ান অভিনেতাকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মানে সম্মানিত করল মোদী সরকার। দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার গ্রহণ করতে গিয়ে চোখ ছলছল নায়কের। মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘এই মঞ্চে আমি আগেও তিনবার এসেছিলাম, প্রথমবার জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর মাথাটা একটু খারাপ হয়েছিল।’

এমআইকে