ওপার বাংলার অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। অন্যায়-অবিচার এ সকল কোনোকিছুই যেন সহ্য করেননা এই অভিনেত্রী। স্বভাবটাও আগাগোড়া ঠোঁটকাটা। ধর্ম, জাতি, দেশ এসব বিভক্ত করেননা তিনি; অনিয়ম-অত্যাচার দেখতে পেলেই মুখ খোলেন।

কলকাতায় আরজি কর কাণ্ডসহ একের পর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রতিবাদে সরব ছিলেন শ্রীলেখা মিত্র। সেই প্রতিবাদের অংশ হিসেবে পূজা কিংবা কোনো উৎসবে থাকবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। কথামতোই তিনি কোনো পূজায় যোগ দেননি। তবে অভিনেত্রী যে আবাসনে থাকেন, সেখানে পূজার আয়োজন করায় বিরক্ত শ্রীলেখা।

মঙ্গলবার অর্থাৎ পঞ্চমীর দিন নিজের আবাসনের পূজা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি ভিডিও পোস্ট করেন অভিনেত্রী। এ সময় শ্রীলেখাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের এখানে পূজা হচ্ছে এবার, আরও বড় করে হচ্ছে। আমি যে বাড়িতে থাকি, হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন, যেখানে কুকুর নিয়ে আমার সঙ্গে অসভ্যতামো করেছিল যে লোকজনেরা, এবার সেখানে আরও বড় করে পূজা হচ্ছে। বাড়ির মা-বোনেরা রেপড হচ্ছেন, খুন হচ্ছে, আর এখানে দুর্গাপূজা হচ্ছে দেখুন। এই লোকজনের সঙ্গে আমি থাকি। হয় আমার মাথা খারাপ, নয় এদের। এদের আনন্দের আতিশয্য দেখে লজ্জা লাগে আমার। যে কেন আমি এখানে ফ্ল্যাটটা কিনতে গেলাম।’

ভিডিওটির ক্যাপশনে শ্রীলেখা লেখেন, ‘আচ্ছা আমি কি ভিনগ্রহের প্রাণী? কেনো বাকিদের মতো হব না? হলেতো আমারও খানিক সুবিধে হত, কেন নিজের সুবিধাটুকু বুঝলাম না? সমস্যা আমার নাকি বাকি সমাজের? মানিয়ে নিতেই পারলাম না কোনও কিছুর সঙ্গে।’

শ্রীলেখার এই ভিডিও দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেটিজেনদের অনেকেই। একজন লিখেছেন, ‘ভিডিও দেখেই গায়ে জ্বালা হচ্ছে.... আর আপনি তো ওখানে সশরীরে থাকছেন!’ এই মন্তব্যের জবাবও দিয়েছেন শ্রীলেখা। লিখেছেন, ‘গত ৫ বছর ধরে আমি পূজার চাঁদা দিইনি।’ আরও একজন লিখেছেন, ‘সব জায়গাতেই কমবেশি একই চিত্র। নিজের অ্যাপার্টমেন্ট এর পরিস্থিতিকে আলাদা ভেবে মন খারাপ কোরো না।’

ডিএ