ঢাকাই সিনেমার সর্বোচ্চ জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ। বাংলা সিনেমার জগতে একজন রাজপুত্র তিনি। নব্বই দশকের সময় তার সেই স্টাইল, ফ্যাশন সেন্স এখনও মুগ্ধ করে দর্শকের। কিন্তু মাত্র ২৪শেই জীবন প্রদীপ নিভে যায় সালমানের; এতে এক অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হয় ঢাকাই চলচ্চিত্র।

ব্যক্তিজীবনে সালমান শাহ ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন সামিরাকে। সেই সামিরার সঙ্গে চট্টগ্রামের একটি ফ্যাশন শোতে ১৯৯০ সালে তাদের পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা, প্রেম, বিয়ের সিদ্ধান্ত। অবশেষে নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে অবশেষে ১৯৯২ সালের ২০ ডিসেম্বর গোপনে বিয়ে করেন সালমান-সামিরা।

তাদের সেই প্রেমকাহিনি নিয়ে ‘স্বপ্নের রাজকুমার’ নামে একটি সিনেমা বানানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন নির্মাতা ছটকু আহমেদ। তবে সালমানের মা নীলা চৌধুরীর আপত্তি ছিল তাতে। ফলে আর পর্দায় আসার সুযোগ পেল না সালমান-সামিরার প্রেমকাহিনি।

নির্মাতা জানান, সালমানের মা লন্ডন থেকে টেলিফোন করে সিনেমাটি বানাতে নিষেধ করেছিলেন।

ছটকু আহমেদের কথায়, ‘২০২০ সালে নির্মাতা সোহান সিনেমাটির উদ্যোগ নিয়েছিল। সেই সময় আমি আর সোহান সামিরার সঙ্গে কথা বলে সিনেমার গল্প সাজিয়েছিলাম। তাদের প্রেমকাহিনি অনেক সিনেম্যাটিক। সামিরার মুখে সেই গল্প শুনে আমাদের ভালো লেগেছিল। এ বছর সালমানের জন্মদিনের আগে আমার গল্পটির কথা মনে পড়ে। সালমান ও সোহানের স্মরণে সিনেমাটি তৈরির উদ্যোগ নিই। সামিরার সঙ্গে যোগাযোগ করলে সে সম্মতি দেয়।’

ছটকু আরও বলেন, ‘খবর পেয়ে কয়েকদিন আগে নীলা চৌধুরী (সালমান শাহ্‌র মা) লন্ডন থেকে ফোন করে আমাকে জানান, সালমানকে নিয়ে কোনো সিনেমা বানানো যাবে না। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া আছে তাদের। নীলা চৌধুরীর এ সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে সিনেমাটির কাজ স্থগিত করেছি।’

উল্লেখ্য, সালমান শাহ ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যু নিয়ে ভক্তমনে ছিল শুরু থেকেই ধোঁয়াশা। কেউ মনে করতেন আত্মহত্যা করেছেন নায়ক- আবার কারও মতে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। যদিও এখনও খোলেনি সেই রহস্যজট।

এ নিয়ে গণমাধ্যমে বহুবার কথা বলেছে সালমানের পরিবার। সালমান শাহ'র মা নীলা চৌধুরী ও তার অনুরাগীরা যদিও মনে করেন, সালমানকে হত্যা-ই করা হয়েছে। আর সেই হত্যায় সালমানের পরিবারের অভিযোগের তীর স্ত্রী সামিরার দিকে।

ডিএ