২০০০ সালে ‘রিফিউজি’ ছবি দিয়ে বলিউডে যাত্রা শুরু করেন কারিনা কাপুর। সেখান থেকে পরিচয় অভিনেতা সাইফ আলী খানের সঙ্গে। ২০১২ সালে বিয়ে করেন সাইফকে। তাদের সংসারে তৈমুর ও জেহর নামে দুই ছেলে সন্তান রয়েছে।

কিন্তু বিয়ে করলে অভিনয় জীবনে ভাটা পড়বে, এমন ভয় দেখিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ভুল প্রমাণ করেছেন কারিনা কাপুর। কারণ, পুরোদমে সংসার পাতার পরেও কারিনা আছেন সেই আগের মতই। চেহারায় খানিকটা বয়সের ছাপ আসলেও তা নিয়ে ভাবেননি কারিনা।

এর আগে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, কোনো ধরনের ফেস ট্রিটমেন্ট করেন না তিনি। তার ছাপ কোনোভাবেই পড়েনি তার অভিনয় জীবনে। বরং, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করে চলেছেন বলিউডের কাপুর পরিবারের দ্বিতীয় কন্যা।

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে সাইফকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেই। সে সময় আমাকে অনেকে বলেছিলেন এখন যেন বিয়ে না করি। কারণ, বিয়ে করলে নাকি আমার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। ভাল চরিত্র পাব না আর। কিন্তু আমি তাদের বলেছিলাম, ক্যারিয়ার শেষ হলে হবে। বিয়ে সাইফকেই করব। আর সত্যিই বিয়ের পরেও কাজ করেছি। এমনকি মা হওয়ার পরেও। আজ মনে হয় স্রোতের উলটো দিকে হেঁটে ভুল করিনি।’

এদিকে, ২০১২ সালে ‘এজেন্ট বিনোদ’ ছবির পর আর একসঙ্গে পর্দায় দেখা যায়নি সাইফ-কারিনাকে। কবে আবার একসঙ্গে কাজ করবেন তারা? এ বিষয়ে কারিনা বলেন, ‘সাইফের তামিল ছবি দেবারার জন্য আমি খুব উৎসাহিত। এইবার আমাদের দুজনের একসঙ্গে কাজ করা উচিত বলে মনে করি।’

ডিএ