প্রথম তেলুগু ছবি ‘দক্ষিণ’ মুক্তি পাচ্ছে পুজার আগেই। জন্মদিনে সেই আনন্দে মেঘমুলুকে ঋষভ বসু। প্রচারের কাজে হায়দরাবাদে ছিলেন অভিনেতা। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিশেষ দিনে বিকেলের বিমানে ফিরেছেন শহরে। 

বিমানবন্দরে পা রেখেই ফোনে আনন্দবাজার অনলাইনের মুখোমুখি। বাংলাদেশের অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন! ফোনের ওপারে কণ্ঠস্বরে লজ্জা আর তৃপ্তির বাতাস।

ঋষভ বললেন, আমি তার ছবির, অভিনয়ের ভক্ত। বাংলাদেশে সদ্য ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থানের সময় আলাপ। কথা হতো আমাদের। বাঁধন তখন জানিয়েছিলেন, সিরিজ় ‘শ্রীকান্ত’-সহ আমার একাধিক কাজ তিনি দেখেছেন। ভালো লেগেছে। সেই জায়গা থেকেই হয়তো শুভেচ্ছা। 

বাঁধন কি তাঁর প্রত্যেক অনুরাগীকেই এভাবে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান? প্রত্যুত্তরে ফোনের ও পারে শুধুই হাসি।

ঋষভের এ বছরের জন্মদিন অনেকটাই অন্য রকম। একদিকে, নতুন ছবির প্রচার। অন্যদিকে, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে অংশগ্রহণ। এক ধাক্কায় অনেকটা ‘বড়’ হয়ে গেলেন?

প্রশ্নের জবাবে অভিনেতার স্বীকারোক্তি, ‘খাঁটি কথা। জন্মদিন মানেই এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। এ বছরের জন্মদিন আমাকে আরও পরিণতমনস্ক করে দিল। আন্দোলনে অংশ নিচ্ছি। সেখানে দায়িত্ব পালন করছি। কোনওদিন ভাবিনি, শহরের এই প্রতিবাদী রূপের সাক্ষী থাকব।’

পরিণত ঋষভ তাই কেক কাটবেন না। উপহার দেওয়া-নেওয়ার ঝুলিটাও এ বছর ফাঁকাই থাকবে হয়তো। মায়ের হাতের পায়েস আর পায়ে পায়ে প্রতিবাদ— এসব দিয়ে ভিন্ন স্বাদের উদ্‌যাপন তার। 

কথায় কথায় এটাও জানালেন, তার দক্ষিণী ছবির বিষয়ও সিরিয়াল কিলার আর পুলিশ নিয়ে। খুনি কেবল মেয়েদের খুন করে। তাকে ধরতে প্রশাসনের হিমশিম দশা। স্বাভাবিকভাবেই প্রচারেও বারবার আরজি কর-কাণ্ড উঠে এসেছে।

তবে জন্মদিনের প্রার্থনা বাতিল করেননি অভিনেতা। ঈশ্বরের কাছে তার প্রার্থনা, দক্ষিণে বাঙালি অভিনেতা মানেই যিশু সেনগুপ্ত, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। তিনি যেন পূর্বসূরীদের মুখ উজ্জ্বল করতে পারেন। ভালো ছবি, ভালো অভিনয় করে দেশের সর্বত্র জায়গা করে নিতে পারেন।

আর বিয়ে? ফের হাসিমাখা জবাব অভিনেতার, ‘এখনই বিয়ের বাঁধনে বাঁধা পড়লে বাঁধন কি আর আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাবেন?’

এপার বাংলার অভিনেত্রী বাঁধনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে রহস্যময় এক প্রশ্ন রেখেই আলাপ শেষ করলেন ওপার বাংলার এই অভিনেতা। 

সূত্র: আনন্দবাজার। 

এনএইচ