ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তিনি মরণোত্তর দেহদান করেছিলেন, এদিকে আরজি কর কাণ্ডের পর মর্গে মৃতদেহ ঘিরে বিভিন্ন দুর্নীতির কথা গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। 

মৃতদেহ নিয়ে কোনও অ্যাডাল্ট ফিল্ম শুট করা হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সম্প্রতি এসব বিষয়ে নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। 

বিভিন্ন দুর্নীতির খবর প্রকাশের পরে মরণোত্তর দেহদান করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘মরণোত্তর দেহদান করা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্তিতে ভোগেন। তবে আমার মধ্যে এমন কোনও বিভ্রান্তি ছিল না। পরিবারের মানুষদের দেখেই উদ্বুদ্ধ হয়েছিলাম।’ 

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আরও কিছুটা সময় আছে। আমার মৃত্যুর আগে অরাজকতা কমবে, সেটুকু আশা রাখি। মরণোত্তর দেহদানের পদক্ষেপটা অন্তর থেকে নিয়েছিলাম। কারণ কারও উপকারে আসতে পারলে ভালো লাগে মৃত্যুর পরও এই পদক্ষেপের জন্য যদি সমাজের উপকার হয়, আমার ভালো লাগবে।’ 

এই কথার ফাঁকেই নায়িকা জানান, যাবতীয় দুর্নীতি দূর হোক, সেটা তিনি চান। নির্যাতিতার ধর্ষকের শাস্তির জন্যও অপেক্ষা করছেন। 

উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট ভোরের দিকে কলকাতার শ্যামবাজার এলাকায় অবস্থিত আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের বিশ্রামকক্ষ থেকে এক নারী চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার হয়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ওই চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল।

তবে মরদেহ উদ্ধারের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছিল যে ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। কর্তৃপক্ষের এই বক্তব্যের পর প্রথমে ফুঁসে ওঠে কলকাতা, পরে গর্জে ওঠে পুরো পশ্চিমবঙ্গ।

এমআইকে