বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সৈয়দ জামিল আহমেদ।

মঙ্গলবার একাডেমিতে যোগদান করার পর দুপুরে জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে সংবাদকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন তিনি। সেখানে জানান, শিল্পকলা একাডেমিতে যদি ওয়াজ মাহফিল করতে চান করতে পারবেন পাশাপাশি নাটকও করতে দিতে হবে। 

সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, শিল্পকলা একাডেমিতে যদি সারা মাস কোরআন তেলাওয়াত করতে চান করেন। কোরআন তেলাওয়াত করে যদি শৈল্পিক উৎকর্ষ বিকাশ করছেন তো করেন। কিন্তু পাশাপাশি কেউ যদি হিন্দু ধর্মের মতো চিন্তা করে তারও তো জায়গা আছে। এটুকু নিশ্চয়তা দিচ্ছি আমার ব্যক্তিগত মতামতের উপর কোন কিছু নির্ভর করবে না। প্রতিটা জেলার মানুষরা শিল্পকলাতে যা দেখতে চায় সেগুলো উপস্থাপন করা হবে।

এরপর তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের মতো করে বিবেচনা করে এই জায়গাটার (শিল্পকলা) প্রসার করেন। শিল্পকলা একাডেমিতে ওয়াজ মাহফিল করতে চাইছেন করেন, আমিও তাহলে চাইবো তার পাশাপাশি নাটকও করতে দেন। এরকম ইনক্লুসিভ সোসাইটি সবাই মিলে সব ধরনের মত প্রকাশ করবে এখানে। আমার একক ব্যক্তিগত চিন্তা যাবে না। সবার চিন্তা হতে হবে, অডিটোরিয়ামে মানুষ যেন শিল্প বান্ধব হয়।’

শিল্পকলায় বাজেট নির্ধারণের বিষয়ে তার মহাপরিচালকের ভাষ্য, ‘শিল্পকলার ১০০ কোটি টাকা বাজেটের মধ্যে ৬৮ কোটি টাকা উন্নয়নের জন্য, বাকিটা হচ্ছে সবার জন্য বেতন ভাতা এখানে দেওয়ার জন্য। এই ৬৮ কোটি টাকা থেকে কত টাকা যাবে জেলায়, কত টাকা থাকবে ঢাকায়, প্রত্যেকটা বিভাগ কত পাবে। আমাদের আরও বেশি টাকা বরাদ্দ দেন যেন জেলা পর্যায়ে কাজ করতে পারি। অনেক টাকা লাগে এখানে। আমি আপ্রাণ চেষ্টা করে যাবো।’ 

তিনি জানান, আরও বেশি টাকা বরাদ্দ দিতে হবে যেন জেলা পর্যায়ে কাজ করা যায়, এখানে অনেক টাকা লাগে। এ টাকা জনগণের আমানত এখানে জবাবদিহিতা থাকতে হবে। চাইলেই ইচ্ছে মতো খরচ করা যাবেনা। 

এমআইকে