‘বিশ্বাস করতে চাই আলো আসবেই’
সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী সোহানা সাবা। সামাজিক মাধ্যমে বেশ কিছুদিন ধরে রয়েছেন চর্চায়। শুরুটা ‘আলো আসবেই’ গ্রুপ কাণ্ড নিয়ে। সেখানকার নিয়মিত সদস্য ছিলেন তিনি। এরপর অভিনেত্রীকে নিয়ে গণমাধ্যমে উঠে আসে দেহব্যবসার চাঞ্চল্যকর খবর। এরপর থেকেই সোহানাকে নিয়ে শোরগোল তৈরি হয় নেটমাধ্যমে।
এদিকে ‘আলো আসবেই’ গ্রুপ কাণ্ড নিয়ে নেটিজেনদের নজর ছিল সোহানা সাবার ওপর। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে দমানোর সেই গোপন কথাবার্তা ভাইরাল হওয়ার পর আওয়ামীপন্থি শিল্পীদের নিয়ে সর্বমহলে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। এ সমালোচনার মাঝে কেউ কেউ নিজেকে জড়িত নয় বলেও দাবি করেন। আবার তাদের কেউ মোটাদাগে নিশ্চুপ ছিলেন; তাদের একজন অভিনেত্রী সোহানা সাবা।
বিজ্ঞাপন
এবার আলো আসবেই গ্রুপে জড়িত থাকার প্রসঙ্গে সোহানা একরম মুখ খুললেন বলেই বোঝা গেল। সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে লিখলেন চার লাইনের কবিতা। সেখানে ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে জড়িত থাকাটা ‘ভুল’ ছিল বলেই কী দাবি করলেন সোহানা?
আরও পড়ুন
সেই পোস্টে সোহানা উল্লেখ করেন, ‘ভেবেছিলাম সামনে অন্ধকার ঘন, দেখেছিলাম অশনি সংকেত ও রণ..সমুদয় পালটানো এই উপত্যকায়, নিজেকে ভুল প্রমাণ করে তবুও বিশ্বাস করতে চাই আলো আসবেই।’
সোহানার ওই পোস্টটি নেটিজেনদের অধিকাংশই হাসির প্রতিক্রিয়া জানান। যদিও ওই পোস্টটি লেখার কিছুক্ষণ পরই মন্তব্য ঘর বন্ধ রাখেন অভিনেত্রী।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর লক্ষ্যে তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং সংসদ সদস্য ফেরদৌসের নেতৃত্বে ‘আলো আসবেই’ নামের ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়, যেখানে আওয়ামীপন্থি শিল্পী ও সাংবাদিকেরা যুক্ত ছিলেন।
গ্রুপে ছিলেন- সোহানা সাবা, জ্যোতিকা জ্যোতি, অরুণা বিশ্বাস, ফেরদৌস ছাড়াও ছিলেন রিয়াজ আহমেদ, সুবর্ণা মুস্তাফা, আজিজুল হাকিম, স্বাগতা, শমী কায়সারসহ অনেকেই।
ডিএ