সম্প্রতি ‘আলো আসবেই’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে। যেখানে আওয়ামী লীগ সমর্থক হিসেবে পরিচিত অভিনয়শিল্পীদের একটি দল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে দমানোর জন্য নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করতেন। 

এসব স্ক্রিনশট ভাইরাল হওয়ার পরে তাদের নিয়ে সর্বমহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এর মাঝে কেউ কেউ নিজেকে জড়িত নয় বলে দাবি করছেন। এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক। তিনিও ছিলেন ওই গ্রুপে।

আমাকে উনারা অ্যাড রেখেছিলেন কিন্তু আমার কোনো রিয়্যাকশন ছিল না দাবি করে সাইমন পোস্টে লিখেছেন, ‘মন্তব্য করার আগে পড়বেন প্লিজ। এটা মনে হয় জানেন, যেকোনো হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে আপনি যতজন কে খুশি অ্যাড করতে পারেন। বিষয় হচ্ছে আপনি সে গ্রুপে কি লিখেছেন বা আপনি অ্যাকটিভ ছিলেন কিনা। আপনারা মনে হয় দেখেছেন, আমাকে উনারা অ্যাড রেখেছিলেন কিন্তু আমার কোনো রিয়েকশন ছিলোনা।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমাকে বারবার ফোন করা হচ্ছিলো আমি যেন বিটিভিতে গিয়ে আন্দোলনে দাঁড়াই, আমি বারবার না করার পর বললো যে ঠিক আছে, তুমি আসতে পারবে না সেটা অন্তত গ্রুপে লিখে দাও! এটা যদি অনেক বড় অপরাধ হয় আমি অপরাধী।’

ভুল শিকার করে সাইমন বলেন, ‘আমার ভুল হয়েছে, উনারা আমাকে অ্যাড করার পর আমি কেন লিভ নিলাম না। আর আপনি বলুন তো, একই পেশার বড়রা যখন আপনাকে একটা গ্রুপে অ্যাড করতো আপনি কি করতেন? যিনি আলো আসবেই গ্রুপে থেকে স্ক্রিনশট গুলো ফাঁস করেছেন, তিনি কেন তখন লিভ নেন নাই? নিশ্চই তখন সুবিধা নেয়ার ধান্দায় ছিল।’

এদিকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং সংসদ সদস্য ফেরদৌসের নেতৃত্বে সবাইকে গ্রুপে অ্যাড করা হয় যারা মূলত আওয়ামী লীগ সমর্থক হিসেবে হয়েছে। 

গ্রুপে সদস্যদের তালিকায় আরও যারা ছিলেন- সোহানা সাবা, জ্যোতিকা জ্যোতি, অরুণা বিশ্বাস, ফেরদৌস ছাড়াও ছিলেন রিয়াজ আহমেদ, সুবর্ণা মুস্তাফা, আজিজুল হাকিম, স্বাগতা, বদরুল আনাম সৌদ, শমী কায়সার, তানভীন সুইটি, আশনা হাবীব ভাবনা, শামীমা তুষ্টি, জামশেদ শামীম, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সাজু খাদেম, হৃদি হক, দীপান্বিতা মার্টিন, জায়েদ খান, লিয়াকত আলী লাকী, নূনা আফরোজ, রোকেয়া প্রাচী, রওনক হাসান, আহসানুল হক মিনু, পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার, এস এ হক অলীকসহ অনেকে।

এমআইকে