গ্রামের মানুষকে সাহায্য করাই চঞ্চলের পেশা!
এবার ঈদে সাত পর্বের ধারাবাহিক ‘কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন’তে দেখা যাবে চঞ্চল চৌধুরীকে। বৃন্দাবন দাসের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন দীপু হাজরা। এনটিভিতে ঈদের সাত দিন রাত ৯টায় প্রচারিত হবে এটি।
চঞ্চল চৌধুরী ছাড়া নাটকটিতে আরও অভিনয় করেছেন শাহনাজ খুশি, বৃন্দাবন দাস, নাদিয়া আহমদে, আ খ ম হাসান, নাদিয়া মিমি, প্রাণ রায়, শিরিনি আলম, মাসুদ রানা মিঠু , সোহানা শারমনি, আশরাফ রবিসহ অনেকে।
বিজ্ঞাপন
নাটকটির গল্পে দেখা যাবে আলতাফ হোসেনকে (চঞ্চল চৌধুরী) তার দাদী আদর করে ডাকে আলতু বলে। শৈশবে সেই নামেই পরিচিত হন তিনি। বয়স বাড়ার সঙ্গে ব্যক্তিত্ব এবং আচরণের কারণে তাকে আলতু থেকে ‘ফালতু’ বলে সম্বোধন শুরু করে গ্রামে মানুষ।
শুরু থেকেই নামের এমন বিকৃতির প্রতিবাদ করে আসছে আলতু। সে তার নামের আদ্যাক্ষর ‘আ’ কে সামনে এনে বোঝানোর চেষ্টা করে ‘আ’ তে আলতু হয় ফালতু নয়। তবুও পরিত্রাণ নেই। সচেতনভাবেই মানুষ তাকে ফালতু বলে ডেকে আনন্দ পায়। মাঝে মধ্যে এ নিয়ে তার সঙ্গে অপ্রত্তিকর ঘটনাও ঘটে যায়। সবাই এটাকে স্বাভাবিক ভাবেই মেনে নিয়েছে।
আলতাফ গ্রামের যে কোনও ঘটনায় সবার আগে উপস্থিত হন নিজ দায়িত্বে। কেউ প্রত্যাশা না করলেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। সেটা হোক পারিবারিক কলহ, দাম্পত্য কলহ, দুর্ঘটনা, সাপে কাটা, কুকুরে কামড়, মেডিকেল অথবা আইনি সাহায্যও প্রদান করতে সদা প্রস্তুত আলতু।
বলা চলে এটাই এখন তার পেশা। নানা রকম কর্মকাণ্ডের মধ্যে নিজের কিছু আয় হয়ে থাকে। মানুষ তাকে তাচ্ছিল্য করে ফালতু বলে হেলা করলেও এড়াতে পারে না। এক ধরনের অদ্ভুত শক্তি দিয়ে পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে আনার গুণ রয়েছে তার মধ্যে। এমনই এক গল্পে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন’।
এমআরএম