‘একাত্তরে জন্ম নিলে এই শিল্পীরা রাজাকারের দায়িত্ব পালন করতো’
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ‘আলো আসবেই’ কাণ্ডের বিষয়ে প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খ্যাতিমান নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী স্ক্রিনশট শেয়ার করেছিলেন। যে গ্রুপে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং সংসদ সদস্য ফেরদৌসের নেতৃত্বে সবাইকে গ্রুপে অ্যাড করা হয় যারা মূলত আওয়ামী লীগ সমর্থক হিসেবে হয়েছে।
যেখানে অভিনয়শিল্পীদের একটি দল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে দমানোর জন্য নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করতেন। এবার এ বিষয়ে আরেক পোস্ট দিয়ে ফারুকী এসব অভিনয়শিল্পীদের বলেন, একাত্তরে জন্ম নিলে এরা রাজাকারের দায়িত্ব পালন করতো।
বিজ্ঞাপন
এরা শুধু শিল্পী হিসাবে না মানুষ হিসাবেও নীচু প্রকৃতির উল্লেখ করে খ্যাতিমান নির্মাতা লিখেছেন, ‘এটা নিশ্চয়ই বেদনার যে আমাদের দেশে শিল্পীর সাইন বোর্ড নিয়ে এমন লোকজন ঘুরে বেড়াতো যারা গণহত্যায় প্রত্যক্ষ উসকানিদাতা অথবা কেউ কেউ নীরব সমর্থক ছিল। এরা শুধু শিল্পী হিসাবে না, মানুষ হিসাবেও নীচু প্রকৃতির। একাত্তরে জন্ম নিলে এরা রাজাকারের দায়িত্ব পালন করতো। ফলে এদের এযুগের রাজাকার বলতে পারেন। নিশ্চয়ই এদের বিচার হবে গণহত্যায় সমর্থন এবং উসকানি দেয়ার অপরাধে।’
আরও পড়ুন
শেষাংশে ফারুকীর ভাষ্য, ‘কিন্তু আশার দিকটা আপনাদের বলি। দেখবেন এই গ্রুপের বেশিরভাগই আসলে কোনো শিল্পচর্চার সাথে সেই অর্থে জড়িত না। আমাদের মেইনস্ট্রিম (মানে টেলিভিশন, ওটিটি, এবং ফিল্মে যারা প্রধান শিল্পী; তথাকথিত এফডিসি বোঝানো হয়নি মেইনস্ট্রিম শব্দটা দিয়ে) অভিনয় শিল্পী বা ফিল্মমেকারদের কেউই এদের সাথে নাই। এরাই আমাদের প্রেজেন্ট অ্যান্ড ফিউচার।’
খ্যাতিমান নির্মাতা আরও বলেন, ‘সহকর্মী এবং শিল্পীদের ফাঁস হওয়া স্ক্রিনশটগুলো উল্লেখ করে যারা অত্যাচারীর সাথে সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিল এবং আমাকে নিয়ে বাজে কথা বলেছিল। অত্যাচারী যদি বেঁচে যেত তাহলে আমার এবং তিশার কোনও না কোনোভাবে ক্ষতি করতো। সরকারের উচিত হবে ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশটগুলো খতিয়ে দেখা, ১৪৬টি স্ক্রিনশট পাওয়া যায়। এই আন্দোলনের সময় যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে উসকানি দিয়েছে তাদের প্রত্যেকেরই তদন্ত করে বিচার করা উচিত।’
উল্লেখ্য, গ্রুপে সদস্যদের তালিকায় আরও যারা ছিলেন- সোহানা সাবা, জ্যোতিকা জ্যোতি, অরুণা বিশ্বাস, ফেরদৌস ছাড়াও ছিলেন রিয়াজ আহমেদ, সুবর্ণা মুস্তাফা, আজিজুল হাকিম, স্বাগতা, বদরুল আনাম সৌদ, শমী কায়সার, তানভীন সুইটি, শামীমা তুষ্টি, জামশেদ শামীম, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সাজু খাদেম, হৃদি হক, দীপান্বিতা মার্টিন, সাইমন সাদিক, জায়েদ খান, লিয়াকত আলী লাকী, নূনা আফরোজ, রোকেয়া প্রাচী, রওনক হাসান, আহসানুল হক মিনু, গুলজার, এস এ হক অলীকসহ অনেকে।
এমআইকে