একটা লম্বা সময় ধরেই  দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এস আই টুটুল যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। স্ত্রী তানিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মার্কিন মুলুকই হয়েছে এই গায়কের স্থায়ী ঠিকানা।

অভিনেত্রী তানিয়ার সঙ্গে সংসার ভাঙার পর এই দম্পতির দুই ছেলে বাবা টুটুলের সঙ্গেই আমেরিকাতে থাকেন। সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি জানিয়েছেন সংগীতশিল্পী নিজেই। 

দুই ছেলের সঙ্গে তোলা একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করে টুটুল বলেন, ‘অনেকেই জানতে চেয়েছেন আমার কথা। আমরা তিন বাপ-বেটা এখন আমেরিকাতেই থাকি। শ্রেয়াস একটা গাড়ি কোম্পানিতে ডিরেক্টর অব সেলস অ্যান্ড ফাইন্যান্স আর আরশ পড়ছে কিংস হাইস্কুলে গ্রেড নাইন এ।’

নিজের কাজ নিয়ে টুটুল লেখেন, ‘এখানে আমার নিজের একটা স্টুডিও আছে, যেখানে সব ইকুইমেন্টস হাইলি প্রফেশনাল। আপনাদের সবার জন্য অনেক দোয়া রইল, আমাদের জন্যে দোয়া করবেন।’ 

প্রসঙ্গত, ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তানিয়া আহমেদ ও এস আই টুটুল। শোবিজ অঙ্গনেও সুখী দম্পতি হিসেবেই পরিচিত ছিল তারা দু’জন। তবে হঠাৎ করেই দীর্ঘ ২২ বছর পথচলার পরে ২০২১ সালে বিচ্ছেদের খবর দেন এই জুটি। 

কি কারণে ভেঙেছিল তাদের সংসার, বিষয়টি নিয়ে সেসময় স্পষ্ট করে কিছু না বললেও সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে টুটুলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরির কারণ জানিয়েছিলেন তানিয়া। যেখানে তিনি বলেছিলেন, দীর্ঘ সময় ধরে দু’জনের মাঝে বোঝাপড়া না হওয়া থেকেই এই বিচ্ছেদ। 

উল্লেখ্য, এস আই টুটুল একাধারে গায়ক, গীতিকার, সংগীত পরিচালক ও সুরকার। শৈশব থেকেই টুটুলে গানের প্রতি অনুরাগ। গানকেই তিনি পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। পিয়ানোর ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ নিলেও বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারেন তিনি। টুটুল নিজেই একজন শব্দ প্রকৌশলী।

‘দারুচিনি দ্বীপ’ সিনেমায় সংগীত পরিচালনার জন্য ২০০৭ সালে জাতীয় চলচ্চিত্রে সেরা সংগীত পরিচালক ও ২০১০ সালে সেরা প্লেব্যাক সংগীতশিল্পীর পুরস্কারে ভূষিত হন টুটুল। ‘নিরন্তর’ সিনেমার জন্য ২০০৬ সালে ভারতের চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সংগীত পরিচালক হিসেবে আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন এ শিল্পী।

এনএইচ