পর্দায় ধুন্ধুমার অ্যাকশন করলেও শুটিং সেটে কিন্তু দারুণ হাসিখুশি থাকেন অক্ষয় কুমার। বলিউডের প্রথম সারির তারকা হওয়া সত্ত্বেও শুটিং সেটে কোনও রকম তারকাচিত ব্যবহার দেখান না। বরং এত দুষ্টুমি করেন যে সেসবের জন্য রীতিমতো দিশেহারা হয়ে যান তার সহকর্মীরা। 

এরকমই অভিজ্ঞতা হয়েছিল জনপ্রিয় চরিত্রাভিনেতা মনোজ পাহওয়ার। অক্ষয় কুমারের জন্য বিয়ে ভাঙতে বসেছিল এই বলি অভিনেতার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। 

মনোজ বলেন, তখন ‘সিং ইজ কিং’-এর শুটিং চলছে। প্রধান ভূমিকায় রয়েছেন অক্ষয় কুমার এবং ক্যাটরিনা কাইফ। বাকি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রদের মধ্যে অন্যতম হিসেবে ছিলেন নেহা ধুপিয়া এবং মনোজ। বাড়ি থেকে যেহেতু অনেকটা দূরেই শুটিং চলছিল তাই স্বাভাবিকভাবেই নিয়মিত ফোন করে মনোজের খোঁজ খবর নিতেন তাঁর স্ত্রী সীমা পাহওয়া।

অক্ষয় এটা জানতেন। একদিন নেহা ধুপিয়ার সঙ্গে একটি পরিকল্পনা করলেন তিনি। এরপর একবার সীমা ফোন করেছেন সেই সময় ফোনের আশেপাশে ছিলেন না মনোজ।

অক্ষয় ফোন ধরে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা নেহা ধুপিয়ার হাতে সেই ফোন তুলে দেন। নেহাও সেই ফোন তুলে গলার স্বর খানিক পাল্টে ফেলে মনোজের স্ত্রী সীমাকে জানান, ‘মনোজ তো এখন পাশে নেই। ও বাথরুমে গিয়েছে।’ 

ভাবটা ছিল এই যে স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে মনোজ অন্য নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছেন। তবে অক্ষয়ের এই দুষ্টুমি ধরে ফেলেছিলেন মনোজের স্ত্রী। হাসতে হাসতে ফোনের ওপর থেকে বলে উঠেছিলেন, ‘এসব করে আমাকে কিন্তু বোকা বানানো যাবে না।’

মনোজ জানান, অক্ষয়ের এই মজা অন্যদিকে গড়াতেই পারত। স্ত্রীর সঙ্গে বিরাট ঝামেলা বেঁধে যেতো। কিন্তু তা হয়নি এইজন্যেই যে বহু বছর ধরে দাম্পত্য জীবন কাটানোর দরুন তাকে ভাল করে চেনেন তার স্ত্রী। একমাত্র এই কারণেই নেহার দেওয়া ইঙ্গিত শুনেই রসিকতাটি ধরে ফেলেছিলেন সীমা।

এমআইকে