ভারতের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি। বলিউডের অন্যতম আইটেম ড্যান্সার হিসেবেও পরিচিতি তার। কখনও কাজ আবার কখনও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনায় চলে আসেন তিনি। তবে গত কয়েক বছর ধরে নিজের কাজ নিয়ে বেশ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল নোরার। কাজের চাপে একেবারে বেসামাল হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। সেই অভিজ্ঞতাই সম্প্রতি ভারতের একটি গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে জানালেন তিনি।

নোরা ফাতেহির কাছে তখন জানতে চাওয়া হয়, যদি তার জীবনের ওপর কোনো ডকুমেন্টারি তৈরি করা হয়, তাহলে কোন সময়টি তুলে ধরা কঠিন হবে। সে উত্তরে নোরা বলেন, ‘সম্ভবত গত চার-পাঁচ বছরের সময়টি। কারণ, এ সময় আমার সঙ্গে অনেক কিছুই ঘটেছে, যারা অনেকেই জানেন না। খুবই বিশৃঙ্খল সময় ছিল এটা, বলা যায় চার-পাঁচ বছর পাগলপ্রায় ছিলাম। সময়টি নিয়ে কথা বলা আমার জন্যে কঠিন। যদি কখনও ডকুমেন্টারি করার সিদ্ধান্ত নেই, তাহলে বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখব।’

সে সময়ের বর্ণনা দিয়ে সাক্ষাৎকারে নোরা বলেন, ‘সময়টা আমার কাছে রোলার কোস্টারে রাইড করার মত ছিল। সে সময় শ্যুটিং সেট আমার কাছে একেবারেই নতুন। যখন আমার প্রথম ছবির দৃশ্যে পরিচালক 'কাট' বলেছিলেন, আমি সঙ্গে সঙ্গেই চরিত্র থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম। তখন পরিচালক বলেছিলেন, যখন আমরা কাট বলি, তখন আপনাকে চার-পাঁচ সেকেন্ড অপেক্ষা করতে হবে, তারপর চরিত্র থেকে বের হতে হবে। আমি আগে এসব জানতাম না। তবে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তখন শ্যুটিং সেট থেকে অনেক কিছু শিখেছিলাম।’

মরোক্কান বংশোদ্ভূত নোরা ফাতেহির জন্ম ও বেড়ে ওঠা কানাডায়। তার ক্যারিয়ারের জন্য অন্য দেশে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত তার পরিবারের পক্ষেও কঠিন ছিল। 

নোরার সাফল্য নিয়ে তার পরিবারে কী মনে করে তা নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রথমদিকে, যখন আমি এই যাত্রা শুরু করি, তখন সবাই মনে করেছিল আমি পাগল। কেউ আমাকে সমর্থন করেনি। যদিও এ নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। পৃথিবীর অন্য প্রান্তে গিয়ে, যেখানে কোনো বন্ধু, পরিবার, যোগাযোগ বা সম্পর্ক নেই, সে জায়গাটি কতটা অদ্ভুত হতে পারে তা বুঝেছি। আমি একমাত্র যে সীমা ছাড়িয়ে কিছু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে এটি ভাবারও বিষয় না। তাই আমার পরিবার এ নিয়ে আমাকে কিছু বলেন নি, বরং সমর্থন করেছেন এবং গর্বিতও। আমরা যখন দুবাই, মরোক্কো বা কানাডায় যাই, তখন ভক্তদের দেখে তারা অভিভূত হয়ে পড়েন’- যোগ করেন নোরা ফাতেহি। 

২০১৪ সালে বলিউডে প্রবেশ করেন নোরা ফাতেহি। এক দশকের ক্যারিয়ারে তিনি নিজেকে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার প্রথম উল্লেখযোগ্য কাজ ছিল ২০১৫ সালে “রোত্তে হুয়ে আদমি” সিনেমায়। এরপর ২০১৮ সালে দিলবার গানে নেচে বেশ জনপ্রিয়তা পান তিনি।

ডিএ