আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার (২৪ আগস্ট) এক মঞ্চে জড়ো হোন দেব ও রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। এসময় পাশাপাশি দেখা যায় তাদের। একসঙ্গেই তারা নারকীয় হত্যা-ধর্ষণের প্রতিবাদ জানান।

রূপা জানান, তারা এই মুহূর্তে একত্রিত হয়ে পথে নামবেন বলেই ঠিক করেছেন। তিনি বলেন, আমি দেশের হিসাব রাখতে পারি না। বছরে এই রাজ্যে ৩০-৩৫ হাজার নারী নির্যাতনের ঘটনা হয়। আজ আমরা সকলে একত্রিত হয়েছি। এই রাজ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অপেক্ষা তো আমরা করেই আছি। কিন্তু যেকোনও একটা রাজ্য নয়। আমরা সকলে চাই, প্রত্যেক জায়গায় এমন ঘটনার প্রতিবাদে আমরা একত্রিত হব।

তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে কোনোভাবেই রাজনৈতিক দল, জাত, ধর্ম ভাষার হিসেবে করব না। যে রাজ্যেই যে অপরাধী হবে, তার শাস্তির দাবিতে সকলে একত্রিত হবে। কোনটা বিজেপির রাজ্য, কোনটা তৃণমূলের রাজ্য, কোনটা সিপিআইএম-এর রাজ্য, তা দেখা হবে না। কেউ বেছে বেছে প্রতিবাদ করবে না।

শোনা যাচ্ছে, কয়েক জন ‘মি টু’ অভিযুক্তরাও এই আন্দোলনে শামিল হচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, হয়ত তাদেরও বোধদয় হচ্ছে। যদি কেউ অন্যায় কাজ করে এখন এই আন্দোলনে শামিল হন, বুঝতে হবে সেটা শুভ লক্ষণ।

অনেকেই দাবি করেছেন, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এই রাজ্যে নারী নির্যাতনের পরিসংখ্যান কম। এই দাবি মানতে নারাজ রূপা।

তিনি বলেন, অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যাতত্ত্বের কিছু ফারাক আছে। আমি সাক্ষী। নিরপেক্ষ ভাবে বলছি, কামদুনি কাণ্ডের সময়ও দেখেছি। অন্যান্য রাজ্যে অপরাধের শাস্তি দ্রুত হয়। কিন্তু এই রাজ্যে সরকারি হাসপাতালের মধ্যে কর্মরত চিকিৎসকের এমন পরিণতি হচ্ছে।

পিএইচ