ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী এখন বড়পর্দার রাণী! ক্যারিয়ারের প্রথম চলচ্চিত্র নিয়েই চলে এলেন আলোচনায়। মাকসুদ হোসেন পরিচালিত ছবি ‘সাবা’ তে বড় পর্দায় অভিষেক মেহজাবীনের। আর শুরুতেই বড় অর্জন! টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচিত হয়েছে তার অভিনীত ‘সাবা’।

সম্প্রতি ‘সাবা’ সিনেমা ও দেশের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মেহজাবীন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘সাবা’র প্রিমিয়ার নিয়ে তার অনুভূতির কথা জানান তিনি। অভিনেত্রীর কথায়, ‘এত বড় একটি চলচ্চিত্র উৎসবে ‘সাবা’ নির্বাচিত হয়েছে, শিল্পী হিসেবে আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। সিনেমাটি নিয়ে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কিছু পেয়ে যাচ্ছি। এটা আমার ও পুরো টিমের জন্যই বড় প্রাপ্তি।’

মেহজাবীন বলেন, ‘এ সিনেমাটি যখন টরেন্টো উৎসবে ডিসকভারি বিভাগে নির্বাচিত হয়, তখন এই খুশিটা আমি সেভাবে উদ্‌যাপন করতে পারিনি। কারও সঙ্গেই সেভাবে কথাও বলতে পারিনি। কারণ তখন দেশের অবস্থা ভালো ছিল না। সেসময় সিনেমা নিয়ে উচ্ছ্বাস করার পরিস্থিতিও ছিল না।’

মেহজাবীনের সাবা চরিত্র কেমন, ‘সে আলোচনায় অভিনেত্রী বলেন, সিনেমায় সাবা একটি সাহসী মেয়ের চরিত্র। আমি বরাবরই এমন চরিত্রে অভিনয় করতে চাই, যার সঙ্গে আমার চিন্তাভাবনায় অমিল থাকে। এটাকেই আমার মূল চ্যালেঞ্জ মনে হয়। আমি যদি আমার বাস্তব জীবনের সঙ্গে মেলাতে চাই তাহলে আমার থেকে এই চরিত্রটি অনেক সাহসী। সিনেমাটি দেখলেই বুঝতে পারবেন কেন এ কথাটি বললাম।’

দেশের পরিস্থিতি ও শুটিংয়ে ফেরা প্রসঙ্গে মেহজাবীন বললেন, ‘শিল্পী হিসেবে আমার জায়গা থেকে ছাত্রদের পক্ষে আওয়াজ তুলি। আমি মনে করি, সবারই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা উচিত। অন্যায়কে রুখে দেওয়া উচিত সম্মিলিতভাবে। তবে এ আন্দোলনের কথা ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হলেও আমার কাছে মনে হয় কেউই এখনও শুটিং করার মানসিকতায় নেই। আমরা সবাই মিলে আগে দেশটাকে গোছাই। এটাই ভালো হবে।’

‘সাবা’র মাধ্যমে ১৪ বছরের টিভি অভিনয়জীবন পেরিয়ে বড় পর্দায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন। এতে আরও অভিনয় করেছেন রোকেয়া প্রাচী ও মোস্তফা মনওয়ার। সিনেমাটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ত্রিলোরা খান ও মাকসুদ হোসেন। শোনা যাচ্ছে, এ বছরই দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে পারে ‘সাবা’।

ডিএ