টানা ভারী বৃষ্টি ও বাঁধ খুলে দেওয়ায় ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ দেশের ১২ টি জেলায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। এতে পানিবন্দি ও ক্ষতির মুখে পড়েছেন ৩৬ লাখ মানুষ। তৈরি হয়েছে মানবিক বিপর্যয়। এর মধ্যে চার জেলায় আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

ইতোমধ্যে বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি কোস্টগার্ড, বিজিবি ও নৌবাহিনী যোগ দিয়েছে। এগিয়ে আসছে দেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। বন্যার এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে চলচ্চিত্রশিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রী ইউটিউবার ইনফ্লুয়েন্সারাসহ সংগীত শিল্পীরাও এগিয়ে এসেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে বন্যার্তদের সাহায্য করতে উদ্ধার সামগ্রী নিয়ে ফেনীর উদ্দেশ্যে রওনা হন দেশের তরুণদের প্রিয় ইনফ্লুয়েনসার ও সংগীতশিল্পী তাসরিফ খান। এই মুহূর্তে ফেনীতেই আছেন তিনি। শুক্রবার বিকেলে সামাজিক মাধ্যমে সেখানকার ভয়াবহ পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন তিনি। জানান, ফেনীতে বন্যায় আটকে পড়া মানুষগুলো চরম ত্রাণ সংকটে রয়েছে; সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বিশুদ্ধ পানি।

এক ফেসবুক পোস্টে তাসরিফ লেখেন, ‘বিশুদ্ধ পানি প্রয়োজন, ওয়াটার পিউরিফায়িইং ট্যাবলেট প্রয়োজন। ফেনী সদরের ৩নম্বর ওয়ার্ডে মানুষ এখন বন্যার পানিই খাচ্ছে। এটা আজকে দুপুরের কথা বলছি। অন্যান্য জায়গাতেও বিশুদ্ধ পানি আর খাবারের চরম সংকট। আজকে সকাল থেকে আমাদের টিমের সবাই ১টা ২টা করে টোস্ট বিস্কুট খেয়ে আছি এখন পর্যন্ত। একটু পর আশ্রয় কেন্দ্র থেকে আমরা খাবার পাবো কিছু, তখন খাব।’

পরিস্থিতির ভয়াবহতা উল্লেখ করে তাসরিফ লেখেন, ‘আপনারা যতটুকু সম্ভব ত্রাণ এবং বিশুদ্ধ পানি নিয়ে আসুন প্লিজ। বোট আছে, মানুষ রেসকিউ করতে যাচ্ছে। যারা রেসকিউ করতে যেতে পারবেন না বা বোট পাচ্ছেন না তারা লাইফ জ্যাকেট নিয়ে এসে খাবার নিয়ে অন্তত সদরের গলিগুলোতে ঢুকে যান, যত বেশি সম্ভব। ট্রাস্ট মি। মানুষ এখন বিশুদ্ধ খাবার পানি আর ত্রাণের চরম সংকটে আছে এদিকে।’

উল্লেখ্য, বন্যার্তদের পাশে থাকাটা একেবারেই নতুন নয় তাসরিফের। বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে সর্বদা সরব থাকেন এই শিল্পী। এর আগে ২০২২ সালে সিলেটের বন্যাদুর্গত বিপর্যস্ত মানুষদের জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়ে ফেসবুকে লাইভ করেন তাসরিফ। যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। সহায়তায় কোটি টাকার বেশি ফান্ড সংগ্রহ করে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আলোচনা ও প্রশংসায় ভাসেন এই শিল্পী।

ডিএ