ভারতের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিং। ‘তুম হি হো’ বা ‘হামারি অধুরি কাহানি’- গানের মাধ্যমে ভক্তদের মাঝে জায়গা করে নিয়েছেন। এরপর বলিউড থেকে টালিউডে গান গেয়ে প্রশংসিত হয় শ্রোতামহলে। 

এদিকে সাত দিনের মধ্যে আরজি কর কাণ্ডের বিচার না পেলে রাস্তায় নামবেন তিনি। গত ১৭ই আগস্ট নিজের ব্যক্তিগত এক্স হ্যান্ডেলে এই কথা জানিয়েছিলেন। তার এই পোস্ট ঘিরে তৈরি হয় নানান কনফিউশন। 

বেশকিছু রাজনৈতিক দলের সমর্থকরা দাবি করতে থাকেন ‘আত্মজজলজ’  নামের এই এক্স হ্যান্ডেল মোটেই গায়ক অরিজিৎ-এর নয়।  তবে এ অ্যাকাউন্টটি অরিজিতের। আর জি কর মামলা নিয়ে শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। মাঝে নিজের অ্যাকাউন্ট ব্যক্তিগত করে দিলেও বৃহস্পতিবার সেটি পাবলিক করে দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা নিয়ে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। এইদিনের সব কনফিউশন দূর করে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি অডিও বার্তা পোস্ট করেন অরিজিৎ। সেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি এখন কিছু বলছি না, শুধু সেট আপ করছি। কিছু বলার আগে আমাকেও জানতে হবে আমি কী বলব, কারণ আমরা জানি শব্দ কতটা গুরুত্বপূর্ণ, এবং অ্যাকশনও। কারণ শব্দ যদি অর্থহীন হয় তাহলে সেটা উদ্দেশ্যপূরণ করতে পারে না। ততক্ষণ।’

অপর এক পোস্টে এদিন সুপ্রিম কোর্টে হওয়া শুনানির ভিডিও লিঙ্ক চান অরিজিৎ। পরে তিনি পোস্ট করেন, ‘আমি অতোটা শিক্ষিত নই এই প্রশ্নটা করার জন্য, শুধুই একজন সাধারণ মানুষ। তবে নির্যাতিতার বাবা-মা’র বয়ান তো সোশ্যাল মিডিয়াতেই রয়েছে। হয়ত সেটা গ্রহণযোগ্য নয়, কিন্তু তাদের কি ডাকা যায় না? সেটাকে কি বিবেচনা করা যায় না?’

উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট ভোরের দিকে কলকাতার শ্যামবাজার এলাকায় অবস্থিত আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের বিশ্রামকক্ষ থেকে এক নারী চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার হয়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ওই চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল।

তবে মরদেহ উদ্ধারের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছিল যে ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। কর্তৃপক্ষের এই বক্তব্যের পর প্রথমে ফুঁসে ওঠে কলকাতা, পরে গর্জে ওঠে পুরো পশ্চিমবঙ্গ।

এমআইকে/