করোনার কারণে বদলে গেছে ঈদের ‘ইত্যাদি’
দীর্ঘ তিন দশক ধরে বিটিভির ঈদ আনন্দ উৎসবের অন্যতম আয়োজনে পরিণত হয়েছে ইত্যাদি। তবে করোনার কারণে এবারের ইত্যাদির সেই চিরচেনা চিত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম ঘটবে। পূর্ণ প্রস্তুতি থাকার পরও দর্শক, শিল্পী ও কলাকুশলীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কথা ভেবে চিরাচরিত নিয়মে স্টেডিয়ামে ইত্যাদি ধারণ করা হয়নি এবারের পর্বটি।
তবে ইতোপূর্বে প্রচারিত ঈদ ইত্যাদির কয়েকটি পর্ব থেকে সংকলন করে ভিন্নভাবে সাজানো হয়েছে ঈদ ইত্যাদি। এবারের ইত্যাদির শুরুতে এবং শেষে রয়েছে বিশেষ চমক। যা নুতনভাবে ধারণ করে সংযোজন করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এবারের ইত্যাদির বিভিন্ন অংশে দেশের বিনোদন জগতের শীর্ষ তারকাদের দেখা যাবে। বরাবরের মত ‘ইত্যাদি’ শুরু হবে ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশির ঈদ’ দিয়ে। প্রতিবারের মত এবারও এর চিত্রায়ণে রয়েছে বৈচিত্র্য।
একটি বিষয়ভিত্তিক গানও সংকলন করা হয়েছে। যেটির শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন ও প্রয়াত এন্ড্রু কিশোর। মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের কথায় এটির সংগীতায়োজন করেছেন সদ্য প্রয়াত ফরিদ আহমেদ। চিত্রায়নে অংশ নিয়েছে শতাধিক নৃত্যশিল্পী।
একটি পর্বে অংশগ্রহণ করেছেন সত্তর দশকের পর্দায় ঝড় তোলা তিন নায়ক-বুলবুল আহমেদ, ফারুক ও সদ্য প্রয়াত ওয়াসীম। তাদের সঙ্গে রয়েছেন এই প্রজন্মের তিন নায়ক ঈমন, নিরব ও সজল।
ভিন্ন আঙ্গিকের একটি নাচে অংশ নিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনয় ও মডেল তারকা মৌ, মৌসুমী, ফেরদৌস ও নোবেল। এই নাচে দেড় শতাধিক নৃত্যশিল্পী অংশগ্রহণ করেছেন। একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন প্রতীক হাসান, প্রীতম হাসান, কনা ও ঐশী। লিটন অধিকারী রিন্টুর কথায় এটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন প্রীতম হাসান। এছাড়াও রয়েছে আরও নানা আয়োজন।
ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় যথারীতি হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন, স্পন্সর করেছে কেয়া কস্মেটিকস্ লিমিটেড। বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্র্ডে ঈদের পর দিন রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর একযোগে প্রচার হবে অনুষ্ঠানটি।