কাজের ব্যস্ততার মাঝেও মন খারাপ থাকে : জিৎ
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন টলিউড সুপারস্টার জিৎ। ফের একবার আরজি কর প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন জিৎ। তবে সেখানে মানুষকে আনন্দ দেওয়ার পরিবর্তে তার গলায় উঠে এল মন খারাপের কথা।
অনুষ্ঠানের সেই ভিডিওতে জিৎ বলছেন, ‘ঠিক যে সময় এই অনুষ্ঠান হচ্ছে, তখন শহরের অবস্থা একেবারেই ভালো নেই। বর্তমানে এই শহরে বসবাস করে কাজের ব্যস্ততার মাঝেও মন খারাপ থাকে, মন উদাস হয়ে থাকে। আমি এই মঞ্চের মাধ্যমে আরও একবার প্রার্থনা করব যে, যে মহিলার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে, সেই নির্যাতিতা বিচার পাক। নির্যাতিতা বিচার পেলে ওঁর পরিবারও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য শক্তি পাবে।’
বিজ্ঞাপন
জিৎকে এভাবে প্রতিবাদে সোচ্চার হতে দেখে ভক্ত-অনুরাগীরা বেশ খুশি হয়েছেন। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘একমাত্র এই নায়ককে দেখেছি, যিনি মানুষের দুঃখে শামিল থাকেন। খুব সুন্দর একজন মানুষ, যিনি প্রতিবাদ করতে জানেন, আমার প্রিয় নায়ক জিৎদা।’ আরও একজন লিখেছেন, ’উনি হাওড়াতে গান গেয়েছিলেন, যখন সকলে প্রতিবাদ করেছিল।’
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসের আগে আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন জিৎ। প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘আমরা কি আদৌ স্বাধীন হয়েছি।’ মনে করিয়ে দিয়েছিলেন গত কয়েকদিনে রাজ্যে কী কী ঘটেছে।
জিৎ লিখেছিলেন, ‘আপনারা জানেন যে, বিগত কয়েকদিন আগে আরজি কর হাসপাতালে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। একজন মহিলা, তাঁর সঙ্গে খুবই নির্মমতার সঙ্গে অত্যাচার করা হয়েছে। এবং এই নিয়ে আমি আজ সকালে সোশ্যালেও পোস্ট করেছিলাম। আবারও বলছি যে, আর কিছুক্ষণ পরে স্বাধীনতা দিবসে আমরা পা দেব। কিন্তু মাঝে মাঝে এরকম ঘটনা যখন ঘটে, আমরা সত্যিই কি স্বাধীন হয়েছি?’
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট ভোরের দিকে কলকাতার শ্যামবাজার এলাকায় অবস্থিত আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের বিশ্রামকক্ষ থেকে এক নারী চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার হয়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ওই চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল।
তবে মরদেহ উদ্ধারের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছিল যে ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। কর্তৃপক্ষের এই বক্তব্যের পর প্রথমে ফুঁসে ওঠে কলকাতা, পরে গর্জে ওঠে পুরো পশ্চিমবঙ্গ।
এমআইকে/