বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রেশ গিয়ে পড়েছে ওপার বাংলা কলকাতা ও পাকিস্তানের করাচিতে। বর্তমানে এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম এই দুই দেশের দুই শহরেও আন্দোলন চলছে। 

যেই আন্দোলনে  বিপ্লবীদের কণ্ঠে ঘুরে-ফিরে উঠে আসছে বাংলাদেশের নাম ও স্লোগান। ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে, পাকিস্তানের করাচিতে বিপ্লবীদের কণ্ঠে স্লোগান উঠেছে ঢাকার সুরে, ‘তুমি কে? আমি কে? বাংলাদেশ! বাংলাদেশ!’

একইভাবে কলকাতার আরজি কর হাসপাতাল কাণ্ডে ফুঁসে ওঠা নাগরিকরাও যেন ঢাকার ছাত্র আন্দোলনকে অনুসরণ করছেন। নিজেদের বিক্ষোভে ঢাকার ছাত্র জনতার এক দফা দাবির কথা বারবার স্মরণ করছেন। 

এদিকে সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি নজরে এনে তরুণ অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক বাংলাদেশ নামটার একটি বিশেষণ বা ট্যাগ লাইন ঘোষণা করেছেন। সেটি হলো ‘বীরের দেশ’ কিংবা ‘দ্য ল্যান্ড অব ব্রেইভ’। 

সোমবার এক স্ট্যাটাসে এই অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘কলকাতা টু করাচি, সবার মুখে বাংলাদেশ এবং আমাদের স্লোগান। বাংলাদেশিদের বীরত্বে যুগে যুগে বিস্মিত হয়েছে পুরো বিশ্ব। আর কিছু থাকুক আর না থাকুক, আমাদের পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেশপ্রেম আছে। আরও আছে বাঘের মতো একটা কলিজা।’

অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘‘১৯৫২, ১৯৭১, ১৯৯০ ও ২০২৪। এই ইতিহাস বারবার ফিরে ফিরে আসে। বীরেরাও আসে নতুন রূপে নতুন পরিচয়ে, কিন্তু কলিজা সেই একই! বীরের কলিজা। আর তাই আমি আমার দেশকে একটা বিশেষণ দিতে চাই। সেটি হলো ‘বীরের দেশ’। ইংরেজিতে ‘দ্য ল্যান্ড অব ব্রেইভ’।’’

ছাত্রদের আন্দোলনে শুরু থেকেই সরব ছিলেন চমক। কখনো রাজপথে, কখনো সোশ্যাল মিডিয়াতেই শিক্ষার্থীদের ওপর সংগঠিত হওয়া বিভিন্ন অন্যায়ের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। 

এনএইচ