পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার নারী চিকিৎসককে নিয়ে ভিডিও বানিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন ভারতের জনপ্রিয় ইউটিউবার ধ্রুব রাঠি। 

নিজের বানানো ভিডিওতে ধর্ষিতা তরুণীর নাম ফাঁস করে দেন তিনি। এরপরই তুমুল সমালোচনার মুখে পড়তে হয় এই ইউটিউবারকে। তোপের মুখে বাধ্য হয়ে ভিডিওটি ডিলিট করে দেন তিনি। 

সামাজিক মাধ্যমে নিভয়া-২ কাণ্ডের বিচারের দাবি জানিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন ধ্রুব। কিন্ত কিছুক্ষণ পরই সেটাও ডিলিট করে দেন তিনি। 

নেটিজেনদের মন্তব্য, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভয়ে সেই ভিডিও ডিলিট করে দিয়েছেন এই ইউটিউবার। আবার কারো দাবি, ধর্ষিতার নাম ফাঁস করে দেওয়ায় তোপের মুখে ভিডিও সরিয়ে নিয়েছেন তিনি। 

ধ্রুবকে কটাক্ষ করে একজন লিখেছেন, ‘এর আগে মোদী সরকার নিয়ে নানা বিরোধিতা মূলক পোস্ট করলেও মমতার সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ানোর সাহস নেই। তাও নাকি লোকজন একে বিপ্লবী বলে!’

যদিও এই বিষয়ে সাফাই দিয়ে ধ্রুব জানিয়েছেন, নিহতের নাম তার পোস্টে নেওয়ায় অনেকে সেটার বিরোধিতা করেছেন বলে সেই পোস্ট সরিয়ে দিয়েছেন। 

একজনের মন্তব্যের উত্তরে এই ইউটিউবার বলেন, ‘অনেকে আমার ভুল ধরিয়ে দিয়ে নিহত নারীকে নির্ভয়া ২ বলায় ইনসেনসিটিভ বলছেন। তাই ভাবলাম তারা হয়তো ঠিক। সে কারণেই ডিলিট করে দিলাম।’

ধ্রুব এদিন তার মূল পোস্টের ক্যাপশনেও ধর্ষিতার নাম ফাঁস করে দিয়েছিলেন। 

গত ১৪ আগস্ট এক্স হ্যান্ডেলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকের এই ধর্ষণ হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত দুঃখজনক। চিকিৎসকরা কোন পরিস্থিতিতে কাজ করেন, তাদের নিরাপত্তা কী আর কতটা সেটা এখান থেকেই বোঝা গেল। পশ্চিমবঙ্গের আইনের অবস্থাও বা কী সেটাও স্পষ্ট। আশা করব সিবিআই সঠিক তদন্ত করবে এবং সঠিক বিচার নিশ্চিত করবে। 

তার এই পোস্ট মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে নেটিজেনরা ধ্রুবর সমালোচনায় মেতে ওঠেন। অনেকেই বলেন, এভাবে নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে এনে ধ্রুব আইনভঙ্গ করেছেন। এরপরই চাপে পড়ে ভিডিওটি সরিয়ে ফেলেন। 

এনএইচ