প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃণাল সেনের বায়োপিক নির্মাণ করেছেন কলকাতার গুণী পরিচালক সৃজিত মুখার্জি। ‘পদাতিক’ শিরোনামে এই সিনেমায় মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের প্রভাবশালী অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। যার স্ত্রী গীতা সেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন কলকাতার আলোচিত অভিনেত্রী মনামী ঘোষ।

কখনো পোশাক, কখনো বিয়ে, কখনো ব্যক্তিজীবন— নানা কারণেই আলোচনায় থাকেন এই অভিনেত্রী। আগামী ১৫ আগস্ট মুক্তি পাবে ‘পদাতিক’ সিনেমা। এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে সিনেমার ট্রেলার। 

কেমন ছিল পদাতিক সিনেমার শুটিংয়ের গল্প, সম্প্রতি আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন মনামী। একইসঙ্গে প্রথমবার চঞ্চলের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন তিনি। 

চরিত্রের জন্য নিজেকে কীভাবে তৈরি করেন? এ প্রশ্নের জবাবে মনামী ঘোষ বলেন, ‘সৃজিতদা কিছু তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। যেমন: মৃণাল সেনের যে ছবিগুলোতে তিনি অভিনয় করেছিলেন। মৃণাল সেনের সঙ্গে তার একটা সাক্ষাৎকার ছিল। সেটা দেখেও কিছুটা সুবিধা হয়। বাকিটা অন্যদের থেকে শুনে, বুঝে তারপর অভিনয় করেছি।’

চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে মনামী ঘোষ বলেন, “খুবই ভালো মানুষ। সব সময় তিনি চরিত্রের মধ্যে থাকতেন। ফ্লোরে শটের ফাঁকে আমরা একসঙ্গে চিত্রনাট্য পড়তাম। তবে ফ্লোরে টুকটাক আড্ডাও হতো। মনে আছে, সকালে ফ্লোরে এসেই আমার দিকে তাকিয়ে বলতেন, ‘গুড মর্নিং, গিন্নি। কেমন আছো?”

পরিচালক সৃজিত প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন, সৃজিতদা খুব কড়া। তিনি যেটা চাইবেন, সেটাই ফ্লোরে হবে। আমি তো বলেছিলাম যে, ফ্লোরে তার বকাবকি করার গল্প আমি জানি। তখন সৃজিতদা বলেন, ‘তুই লক্ষ্মী মেয়ে হয়ে ফ্লোরে এলেই আর বকাবকি করব না।’ অর্থাৎ, প্রস্তুতি নিয়ে ফ্লোরে আসতে হবে। আমি কিন্তু লক্ষ্মী হয়েই শুটিং করেছি। তাই এতটুকুও বকুনি খেতে হয়নি। প্রথম দিন হাসপাতালের একটা দৃশ্যের শুটিং ছিল। কয়েকটা শটের পর সৃজিতদা নিজেই বলেছিলেন যে, সব যদি ঠিকঠাক করে দিই, তাহলে তিনি আর কী করবেন। আমার কাছে এটা খুব বড় প্রাপ্তি।

সিনেমাটিতে গীতা সেনের অল্প বয়স থেকে প্রৌঢ় বয়স পর্যন্ত তুলে ধরা হবে। আর সেটার জন্য মনামী ঘোষকে প্রস্থেটিক মেকআপ নিতে হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। চঞ্চল চৌধুরী ও মনামী ঘোষের সঙ্গে সৃজিত মুখার্জির এটি প্রথম কাজ। আবার মনামী-চঞ্চলও প্রথমবার জুটি বেঁধে অভিনয় করেন এই সিনেমায়।

এ সিনেমায় মৃণাল সেনের ব্যক্তিগত এবং পরিচালনার জীবন বেশি জায়গা পেয়েছে। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত মৃণাল সেনের নির্মিত কলকাতা ট্রিলজি সিনেমার অনেকটা জুড়ে থাকবে বলে জানা গেছে।

এনএইচ