বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল। ছাত্র-ছাত্রীদের এ যৌক্তিক আন্দোলনকে পুঁজি করে দুর্বৃত্তরা রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সম্পত্তি, স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুর চালায়। শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

এদিকে দেশকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলার জন্য দেশের জনগণ একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার একাত্মতা পোষণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্ট দিয়েছেন। 

শবনম ফারিয়া পোস্টে লিখেছেন, ‘আমরা সবাই জানি এবং খুব স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারছি যে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল না এই মুহূর্তে। যে কারণেই হোক, যেভাবেই হোক, আমরা ভাল অবস্থায় নাই!’

এ অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘আমরা যে যার যার জায়গা থেকে একটু চেষ্টা করতে পারি এই অবস্থার পরিবর্তন করতে, খুব বড় কিছু যে হবে তা না, কিন্তু এইটা একটা প্র্যাক্টিস , প্রথমেই শুরু করি দেশি পণ্য কেনা দিয়ে। আসে পাশের দেশের শাড়ি/কামিজ/অন্যান্য পণ্য বাদ দিয়ে নিজেদের পণ্য ব্যবহার শুরু করি।’

 

পোস্টের শেষাংশে তিনি বলেন, ‘আর যারা ব্যবসা করেন, আপনারা দয়া করে গলা কাটা বন্ধ করে, জিনিসপত্রের দাম কমান, মান ভালো করেন । আমরাই স্বাধীন ভাবে থাকতে চেয়েছি, বাক স্বাধীনতা চেয়েছি এবং তা আবারও রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি। এখন এই অবস্থার পরিবর্তনেও আমাদের সবার এগিয়ে আসতে হবে।’

পোস্টের কমেন্ট বক্সে মাহফুজুল আলম মিসকাত নামে এক অনুরাগী লিখেছেন, ‘এক কথায় আমাদের ভারত নির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে,এবং দেশীয় পণ্য ব্যবহারে মনোযোগী হতে হবে, এবং দেশীয় পণ্যের মান আর ও উন্নত করার দিকে দেশীয় কোম্পানি গুলোর ও মনোযোগ দেওয়া উচিত,তাহলেই অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যাবে আশা করি।’

নাহিদ নামে আরেক ভক্ত লিখেছেন, ‘অসাধারণ আপনি এই আন্দোলনের প্রথম থেকে অনেক তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন। আপনার অবদান আমরা কখনোই ভুলবো না।’ মোশারফের ভাষ্য, দেশের জন্য সত্যিকার অর্থে যারা ভাবেন, তাদের একজন আপনি। আপনাকে বিপ্লবী স্যালুট।

এমআইকে/